শিল্পকলা একাডেমির ২ বছরের নথি তলব
৫ জানুয়ারি ২০২২ ১৬:৫২ | আপডেট: ৫ জানুয়ারি ২০২২ ১৯:৪৪
ঢাকা: শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তের স্বার্থে শিল্পকলা একাডেমির দুই অর্থবছরের বাজেট ও ব্যয়সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র তলব করে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিমের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে এ সব নথিপত্র চাওয়া হয়েছে।
নথিপত্রের মধ্যে ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে শিল্পকলা একাডেমি ঢাকার বরাদ্দকৃত বাজেট ও ব্যয়সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংবলিত নথির ফটোকপি। ২০২০-২১ অর্থবছরে অব্যয়িত ৩৫ কোটি টাকা, ২০২১ সালের ৩০ জুনে ব্যয়করণ-সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র, ২০২০-২১ অর্থবছরে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান আয়োজন সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংবলিত নথির ফটোকপি, ২০১৯-২০২০ অর্থবছর থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত ব্যয়সংক্রান্ত বিভিন্ন ভাউচার-ক্যাশ বই এবং শিল্পকলা একাডেমি নামীয় সোনালী ব্যাংক (সেগুনবাগিচা শাখা) অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্টের কপি চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিল্পকলার ডিজি লিয়াকত লাকীর দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক
এর আগে, গত ২ জানুয়ারি শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের দুর্নীতির অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে জন্য দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়ার সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করা হয়।
লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
অপরদিকে লাকির বিরুদ্ধে দুদকে দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়েছে- ২০২১ সালের ৩০ জুন শিল্পকলা একাডেমির আগের সচিব নওশাদ হোসেন বদলি হলে সেদিনই নতুন আদেশ জারি করে একাডেমির চুক্তিভিত্তিক পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিমকে সচিবের দায়িত্ব দেন লাকী। ৩০ জুন থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব পালনকালে প্রায় ২৬ কোটি টাকা বিভিন্ন কৌশলে উত্তোলন করা হয়।
সংগীত বিভাগের কক্ষে ব্যবহারের জন্য পর্দা, ক্রোকারিজ ও ফার্নিচার না কিনে ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ, ডান্স অ্যাগেইনস্ট করোনা কর্মসূচির আওতায় নৃত্যদলের সম্মানী, হার্ডডিস্ক কেনা, ডকুমেন্টেশন, প্রপস-কস্টিউম, প্রচার ও বিবিধ ব্যয় দেখিয়ে মোটা অঙ্ক হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
সারাবাংলা/এসজে/একে