‘আওয়ামী লীগ থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা ফিরবে না’
২৭ ডিসেম্বর ২০২১ ১৬:৩৭
ঢাকা: ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতার বিষয়টি উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা ফিরে আসবে না।’
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ রিসার্চ সেন্টার ‘মানবাধিকার ইস্যু এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি’ শীর্ষক এই গোল টেবিল আলোচনা আয়োজন করে। এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সারোয়ার হক মজুমদার শিমুল।
ড. খন্দকার মোশররফ হোসেন বলেন, ‘গতকাল চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শেষ হলো। এই নির্বাচনে কি পরিমাণ সন্ত্রাস হতে পারে, কি পরিমাণ মারামারি হতে পারে, কি পরিমাণ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে আপনারা দেখেছেন। বর্তমান সরকার দেশের নির্বাচনি ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধবংস করে দিয়েছে। এটা পরিস্কার যে, এই সরকারের অধীনে গণতন্ত্র আসবে না, এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা ফিরে আসবে না। এরকম অবস্থা থাকলে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকার নিজের অপকর্মের ভারে পতনের মুখে। এখন জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশপ্রেমিক সকল শক্তির মধ্যে ইস্পাত কঠিন ঐক্য সৃষ্টি করে গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, সরকারে এতদিন থাকার পরে নিজেরও একটা ভার আছে সেই ভারে আজকে পতনের মুখে, আন্তর্জাতিকভাবেও কিন্তু তারা যে চাপে আছে তাতেও পতনের মুখে। এখন আমাদের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একটা ধাক্কা দেওয়া বাকি। সেই ধাক্কাটা দিতে আসুন সকলে সংগঠিত হই। এই সরকারকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নাই।’
মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশকে একটি নিকৃষ্ট স্বৈরশাসকের দেশ হিসেবে তারা প্রতিষ্ঠা করছে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, দুঃখজনক। মুক্তিযুদ্ধের যে আকাঙ্ক্ষা ছিল একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, সাম্যের বাংলাদেশ—এটা আজ ভুলন্ঠিত। এই সরকার আমাদের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, অতীতেও তারা একই কাজ করেছিল।’
তিনি বলেন, ‘সব কিছুকে তারা শুধুমাত্র ক্ষমতায় থাকার জন্য ধবংস করে দিয়েছে। যেখানে গণতন্ত্র থাকে না, সেখানে মানবাধিকারও থাকে না। আজকে আমেরিকার মতো দেশও বাংলাদেশে মানবাধিকার নাই বলে একটা রাষ্ট্রীয় সংস্থাকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এবং আমাদের এই সংস্থার উচ্চতর কর্মকর্তাদেরকে নিষেধাজ্ঞার অধীনে এনেছে। এটা অত্যন্ত লজ্জার ব্যাপার। এর মাধ্যমে কী প্রমাণিত হয়? প্রমাণিত হয় যে, বাংলাদেশে যে মানবাধিকার নাই এটা বাংলাদেশের মানুষের বলার আর দরকার হয় না, সারা বিশ্ব আজকে আমাদেরকে এই তকমাটা দিয়ে দিয়েছে যে, বাংলাদেশে মানধিকার নাই।’
সংগঠনের সভাপতি ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামুসজ্জামান দুদু, বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন ও সাবেক রাষ্ট্রদূত সাকিব আলী।
সারাবাংলা/এজেড/এসএসএ