পর্যটক ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার ৩
২৬ ডিসেম্বর ২০২১ ১২:৪৫ | আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২১ ১৬:১৫
কক্সবাজার: কক্সবাজারে বেড়াতে যাওয়া পরিবারের স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। এই মামলায় এর আগেও একজনকে গ্রেফতার করেছিল র্যাব। তিনি বর্তমানে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে আছেন।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রথমে পাঁচ জনকে গ্রেফতারের তথ্য জানিয়েছিল। পরে জানানো হয়, তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা ধর্ষণে সহযোগী হিসেবে ছিল। তবে তাদের বিস্তারিত নাম-পরিচয় জানানো হয়নি। দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
গত বুধবার (২২ ডিসেম্বর) কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়ে স্বামী-সন্তানসহ হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে ওঠেন ওই নারী। বিকেলে লাবণী পয়েন্টে অপরিচিত এক তরুণের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার আট মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজি অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন-
- কক্সবাজারে ধর্ষণ: হোটেল ম্যানেজার ৪ দিনের রিমান্ডে
- স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে ধর্ষণ: ৪ জনের নামে মামলা
- কক্সবাজারে গৃহবধূ ধর্ষণ: জড়িতদের শনাক্ত করেছে র্যাব
- পর্যটক ধর্ষণের ঘটনায় কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
- স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে ধর্ষণ: আরও ১৬ মামলার আসামি আশিকুল
ধর্ষণের শিকার ওই নারীর অভিযোগ, ওই সময় আরেকটি সিএনজি অটোরিকশায় করে তাকে পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এরপর তাকে জিয়া গেস্ট ইন হোটেলে নিয়ে ইয়াবা সেবনের পর আরেক দফা ধর্ষণ করা হয়। পরে তৃতীয় তলার জানালা দিয়ে এক তরুণের সহায়তায় র্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। র্যাব অভিযান চালিয়ে তাকে ওই হোটেল থেকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) চার জনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ওই নারীর স্বামী। মামলায় আশিকুল ইসলাম আশিক, ইসরাফিল জয় প্রকাশ জয়া, মেহেদী হাসান বাবু ও রিয়াজ উদ্দিন ছোটনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিন জনকে আসামি করা হয়।
ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে উদ্ধারের সময়ই র্যাব-১৫ হোটেল ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে আটক করেছিল। তাকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক রুহুল আমিন। কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হামিমুন তাসনিমের আদালত তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সারাবাংলা/টিআর