করোনার প্রকোপ কাটিয়ে বড়দিনে ফিরল উৎসবের উচ্ছ্বাস
২৫ ডিসেম্বর ২০২১ ১২:০৩ | আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২১ ১৪:৪৪
ঢাকা: রঙ-বেরঙের বেলুন, তার সঙ্গে নকশা করা কাগজের ফুল গুঁজে আটকে দেওয়া হয়েছে দেয়ালে দেয়ালে। ক্রিসমাসট্রিগুলোও ফুল, আর নানা রঙের জরি সুতোয় সাজিয়ে তোলা হয়েছে। যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিন পালনে পুরো গির্জা এরিয়া সাজানো হয়েছে এমন বর্ণিল সাজে। খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছে ২৫ ডিসেম্বর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব।
রাজধানীর গির্জাগুলো ঘুরে দেখা গেছে, গত দুই বছরের করোনার প্রকোপ কাটিয়ে এবার বড়দিনের আয়োজন অনেক চাকচিক্যময়। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এবার যদিও করোনার সংক্রমণ কম কিন্তু নতুন আতংক ওমিক্রন রয়েছে। তাই সকলে যাতে মাস্কের ব্যবহার করেন এবং শারীরিক দূরত্ব মেনে চলেন; সেজন্য সকলকে সচেতন করা হয়েছে।
সকালে রাজধানীর গির্জাগুলোতে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। দুই হাজার বছর আগে খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশু খিষ্ট্র এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন। বেথলেহেমের এক গোয়াল ঘরে কুমারীমাতা মেরির কোলে জন্ম হয়েছিল যিশুর। খিস্ট্রান ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস, যিশু ঈশ্বরের পুত্র। সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যয়ের পথে পরিচালনা করতেই যিশু খ্রিষ্টের জন্ম। আর ঈশ্বর পুত্রের জন্মদিনকে ঘিরে সর্বোচ্চ আয়োজন খ্রিষ্টান ধর্মালম্বীদের প্রতিটি ঘরে ঘরে।
সকাল হতেই প্রতিটি গির্জায় প্রার্থনায় অংশ নেন যিশু ভক্তরা। শুধু পরিবারই নয়, গোটা পৃথিবী যেন থাকে সুখ শান্তিতে। প্রার্থনার পাশাপাশি আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন শিশু বৃদ্ধ সকলে।
রাজধানীর কাকরাইল চার্চ, তেঁজগাওয়ের হলি রোজারি চার্চ, সেন্ট ক্রিস্টিনা চার্চ, মনিপুরি পাড়ার সিস্টার বাড়ি সর্বত্র বড়দিনের আয়োজন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে আর্চ বিশপ বিজয় এন ডি সারাবাংলাকে বলেন, যদিও করোনার প্রভাব এখন অনেক কম, কিন্তু নতুন করে ওমিক্রন ছড়াচ্ছে। এটা অনেক আতংকের বিষয়। আমাদের দেশে না এলেও আমরা উৎসবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছি। বাইরে বড় কোনো জমায়েতের আয়োজন নেই। গির্জায় প্রবেশ পথে স্যানিটাইজার মাস্ক রাখা হয়েছে।
বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর চার্চগুলোর পাশাপাশি বড় বড় হোটেলগুলোতেও আয়োজন করা হয়েছে। ক্রিসমাসট্রিতে রঙিন বাতি, বেলুন আর ফুল, জরি দিয়ে সাজানো হয়েছে। সান্তাক্লজ গিফট দিচ্ছে শিশুদের। থাকছে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা।
সারাবাংলা/জেআর/এএম