Friday 03 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মুরগির দাম বাড়ছেই, মাছের দামও বাড়তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৪ ডিসেম্বর ২০২১ ২০:১৬ | আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২১ ২১:৫৯

ঢাকা: শীত আসার পর সবজিতে কিছুটা স্বস্তি এলেও মুরগির মাংসের দাম কেবলই বাড়ছে। সঙ্গে বাড়তি মাছের দামও। গত এক সপ্তাহে মাছ ও মুরগির দামে নাভিশ্বাস উঠেছে ক্রেতাদের। এমনকি গরুর ও খাসির মাংসেও ক্রেতাদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।

শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরের পর রাজধানীর নিউমার্কেটসহ বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, মুরগির মাংসের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় অনেক বেড়েছে। শুধু ব্রয়লার মুরগিতেই ১৫ থেকে ২০ টাকা দাম বাড়িয়েছেন দোকানিরা। দু’দিন আগেও ১৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া ব্রয়লার আজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়।

বিজ্ঞাপন

মুরগির মধ্যে কক ও দেশির বাজারও বেশ অস্থির। কক মুরগি ২৩০ টাকা থেকে দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায়। অনেক দোকানি একটু বড় সাইজের ককের দাম চাচ্ছেন ৩২০ টাকা কেজি। দেশি মোরগের মধ্যে বড়গুলো ৫৫০ টাকা পর্যন্ত দাম চাওয়া হচ্ছে। অন্যগুলো আকার ভেদে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই ও কাতল মাছের কেজি ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকাও চাওয়া হচ্ছে। অথচ ঢাকার বাজারে সবচে বেশি বিক্রি হওয়া এই দুই মাছ গেল সপ্তাহেও ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। শিং চাওয়া হচ্ছে ৩৫০ টাকা, শোল মাছ ৬৫০ টাকা, তেলাপিয়া ও পাঙাসের কেজি ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রাণিজ আমিষের অন্য দুই উৎস গরু ও খাসির মাংস। এক সপ্তাহ ধরে এখানেও দোকানিরা দাম নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা করছেন। যে গরুর কেজি এই মাসের শুরুতেও ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে, সেটি এখন ৬০০ টাকার কমে দামই করা যাচ্ছে না। খাসির মাংস ৯০০ টাকায় বিক্রি হলেও দোকানিরা দাম চাইছেন অনেক বেশি।

ক্রেতারা বলছেন, সরকার বাজারে নজরদারি করে না বলেই ক্রেতাদের জিম্মি করে এমন ‘সার্কাস’ করতে পারে দোকানিরা। তবে দোকানিরা বলছেন, মুরগিসহ সব ধরনের মাংসের যোগান অনেক কম। তাই দাম বাড়তি। দোকানিদের এই যুক্তি অবশ্য ক্রেতারা মানছেন না। তাদের দাবি, লকডাউন নেই, হরতাল-অবরোধ কিছু নেই। তারপরও কেন যোগানের ঘাটতি থাকবে? দাম বেশি রাখার জন্য ব্যবসায়ীরা এসব কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন।

বিজ্ঞাপন

কেবল মাছ মাংসই নয়, বেড়েছে চালের দামও। বাজারে নাজিরশাইল চাল কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা বাড়িয়েছে দোকানিরা। নাজিরশাইল চাল কেজি ৭০ টাকায় এবং কাটারি নাজির বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়। মিনিকেট ৬৩-৬৫ টাকা, আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে। যার দাম দু’দিন আগেও ৪৭-৪৮ টাকা কেজি ছিল।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, তুলনামূলক ভাবে গেল দুই সপ্তাহের থেকে এখন সবজির দাম বেশ কমই বলা চলে। আজ বাজারে ফুলকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৪০ টাকা দরে। এছাড়াও বাঁধাকপি ৩০ টাকা, শিমের কেজি ৩০ থেকে ৫০ টাকা, নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।

পাকা টমেটো মান ভেদে ৩০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৭০ টাকা, মুলা বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা, শালগম বা ওল কপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, লাল শাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, মুলা শাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, পালং শাকের আঁটি ১০ থেকে ২০ টাকা, লাউডগার আঁটি ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সারাবাংলা/টিএস/এমও

বাড়তি ব্রয়লার মাছ ও মুরগি মাছের দাম মুরগির দাম

বিজ্ঞাপন

না ফেরার দেশে অঞ্জনা
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৫৪

এই তাসকিনকে সমীহ করবেন যে কেউ
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৪৭

আরো

সম্পর্কিত খবর