লঞ্চে আগুন: আরও ২ তদন্ত কমিটি
২৪ ডিসেম্বর ২০২১ ১৭:৪১ | আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২১ ১৯:৪৯
বরিশাল: সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনের ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের পর তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক (ডিসি) জোহর আলী জানান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুল আলমকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
এদিকে, বন্দর ও পরিবহন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক সাইফুল ইসলামকে কমিটির প্রধান করে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিআইডব্লিউটিএ। লঞ্চে আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে।
আরও পড়ুন-
- লঞ্চে আগুন: ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি
- লঞ্চে ভয়াবহ আগুন: প্রাণহানি বেড়ে ৩৯
- লঞ্চে ভয়াবহ আগুন, ১৬ জনের লাশ উদ্ধার
- লঞ্চ থেকে নদীতে লাফিয়ে প্রাণ বাঁচালেন ইউএনও
- সুগন্ধার বাতাসে পোড়া লাশের গন্ধ, তীরে স্বজনদের ভিড়
- লঞ্চে আগুন: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর শোক, যাচ্ছেন ঝালকাঠি
- ঘুম ভেঙে কয়েকশ যাত্রী দেখলেন— মরতে হবে ডুবে, নয়তো আগুনে
এর আগে, যুগ্মসচিব তোফায়েল আহমেদকে আহ্বায়ক ও উপসচিব আমিনুর রহমানকে সদস্য সচিব রেখে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এই কমিটিতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), নৌপরিবহন অধিদফতর, নৌপুলিশ, জেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের এক জন করে প্রতিনিধি রাখতে বলা হয়েছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার সদরঘাট থেকে বরগুনার পথে ছেড়ে যায এমভি অভিযান-১০। দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর গাবখান ধানসিঁড়ি এলাকায় লঞ্চটিতে আগুন লাগে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত লঞ্চ থেকে ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গুরুতর দগ্ধ ৭০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন উদ্ধারকর্মীরা।
লঞ্চ থেকে জীবিত উদ্ধার যাত্রীরা বলছেন, লঞ্চটির ইঞ্জিন রুমের পাশেই ছিল রান্নাঘর। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে।
সারাবাংলা/টিআর
এমভি অভিযান-১০ ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন টপ নিউজ তদন্ত কমিটি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বিআইডাব্লিউটিএ লঞ্চে আগুন