অযোধ্যায় রামমন্দিরকে ঘিরে জমির ব্যবসা
২৩ ডিসেম্বর ২০২১ ২২:০৯ | আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২১ ২২:১১
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দির নির্মাণ মামলার চূড়ান্ত রায় দেওয়ার কিছুদিন আগে থেকেই অযোধ্যায় জমি কেনাবেচার হিড়িক লাগে। এখন মন্দির তৈরির কাজ যত এগোচ্ছে, ততই বেড়ে চলেছে সংলগ্ন এলাকায় জমি কেনার আগ্রহ।
মন্দির হয়ে গেলে অযোধ্যা চলে আসবে ধর্মপ্রাণ সনাতনদের পর্যটন মানচিত্রে। তখন দারুণভাবে বাড়বে হোটেলের চাহিদা। এই ব্যবসায়িক কারণই জমি কেনাবেচার প্রধান তাগিদ বলে মনে করছে ভারতের সংবাদ মাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। একইসঙ্গে, রাজ্যের আইনের তোয়াক্কা না করেই এই কেনাবেচা চলছে বলে খবরে প্রকাশ।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের ওই প্রতিবেদন নিয়ে রাজ্যসভার অধিবেশনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন বিরোধীদলের সদস্যরা। তাদের অনেকেই বলেছেন, বিজেপিই এই জমি ব্যবসার সিন্ডিকেট চালাচ্ছে। যদিও, বিজেপি এই অভিযোগ নিয়ে মুখ খোলেনি।
তারপরই, নির্মাণাধীন রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে জমি ব্যবসার সিন্ডিকেটের ব্যাপারে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ।
এদিকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলেছে, ১৯৯০ সাল থেকে অযোধ্যায় জমি কেনার প্রবণতা বাড়তে শুরু করে। বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্থানীয় দলিতদের কাছ থেকে জোর করে অথবা নিতান্ত কম দামে জমি কিনে নেওয়া শুরু করে। মহাঋষি রামায়ণ বিদ্যাপীঠ ট্রাস্ট নামে এক সংগঠন মন্দিরের পাঁচ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে ২১ বিঘা জমির মালিক। ইতোমধ্যেই, তারা দলিতদের কাছ থেকে কম দামে জমি কিনে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে চড়া দামে বিক্রি করেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ক্রেতাদের প্রায় সবাই বর্ণহিন্দু, শাসক দল বিজেপির অনুগত কিংবা সরকারি কর্মচারী। এমন ১৪ ক্রেতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে যাদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির স্থানীয় বিধায়ক ও মেয়র, উপজেলা শাসক, মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট, বিভাগীয় কমিশনার এবং তাদের আত্মীয়রা।
সারাবাংলা/একেএম