ধর্ষণের শিকার হয়ে ৯৯৯-এ ফোন, উদ্ধার না করে জিডির পরামর্শ
২৩ ডিসেম্বর ২০২১ ১৬:৪২ | আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২১ ১৮:০২
কক্সবাজার: স্বামী-সন্তানের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী। ওই সময় তিনি প্রাথমিকভাবে সাহায্যের জন্য শরণাপন্ন হন জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এর। ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, ফোন করার পর পুলিশ কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পরামর্শ দেয়।
ধর্ষণের শিকার ওই নারী জানিয়েছেন, পরে এক জনের সহযোগিতায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। র্যাব এসে তাকে হোটেল থেকে উদ্ধার করে।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টায় র্যাব এসে হোটেল-মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামের হোটেল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে। কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান জানান, ওই নারীর স্বামী ও সন্তানকে উদ্ধার করা হয় পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে।
আরও পড়ুন-
- কক্সবাজারে গৃহবধূ ধর্ষণ: জড়িতদের শনাক্ত করেছে র্যাব
- স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় শনাক্ত ২
- কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
ওই নারী জানান, স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন তিন তরুণ। পরে জিয়া গেস্ট ইনের তৃতীয় তলার জানালা দিয়ে এক তরুণের সহায়তা রুমের দরজা খোলেন তিনি। তারপর ফোন দেন ৯৯৯-এ। কিন্তু পুলিশ তাকে থানায় জিডি করার পরামর্শ দেয়।
এর আগে, বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজার বেড়াতে যান ওই নারী। শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে ওঠেন তারা। সেখান থেকে বিকেলে যান সৈকতের লাবণী পয়েন্টে। সেখানে অপরিচিত এক তরুণের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার আট মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজি অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়।
ওই নারী জানান, ওই সময় আরেকটি সিএনজি অটোরিকশায় তাকে তুলে নেন তিন তরুণ। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন তারা। এরপর তাকে নেওয়া হয় জিয়া গেস্ট ইন নামে একটি হোটেলে। সেখানে ইয়াবা সেবনের পর আরেক দফা তাকে ধর্ষণ করেন ওই তিন তরুণ। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে জানিয়ে রুমের বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তারা।
র্যাব জানিয়েছে, এরই মধ্যে এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তিন জনকে শনাক্ত করার কথা বলা হলেও পরে র্যাব এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আশিকুল ইসলাম আশিক, ইসরাফিল জয় প্রকাশ জয়া ও মেহেদী হাসান বাবুর মধ্যে শেষোক্ত তরুণের এ ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়।
সারাবাংলা/একেএম