রায়হান হত্যা: নোমানের নামে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
২২ ডিসেম্বর ২০২১ ১৬:২৭ | আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২১ ২২:৫১
সিলেট: সিলেটের পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান হত্যা মামলার পলাতক আসামি আব্দুল্লাহ আল নোমানকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও তিনি হাজির না হলে তার অনুপস্থিতিতেই বিচারকাজ শুরু হবে।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আমিরুল ইসলামের আদালত এ নির্দেশ দেন। এদিন সকালে কড়া নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এ মামলার আসামি পুলিশের এসআই পদ থেকে বরখাস্ত আকবর হোসেন ভুইয়াসহ ছয় জনকে আদালতে হাজির করা হয়।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, মামলার আসামি নোমান পলাতক থাকায় আদালত প্রথমে তার মালামাল ক্রোক করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। পুলিশ এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর তার নামে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশনা দেন আদালত।
মামলা বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবুল ফজল বলেন, মামলাটিতে পরবর্তী আদেশের জন্য আজ (বুধবার) দিন নির্ধারিত ছিল। এদিন আদালত নোমানের নামে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন। তাকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশনা জানিয়ে কমপক্ষে দুইটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি ছাপানো হবে। এর মাধ্যমেই তাকে জানানো হবে যে তিনি আদালতে হাজির না হলে তার অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরু হবে।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, মামলার আগামী তারিখের আগেই পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা গেলে পরবর্তী কার্যদিবস থেকেই বিচারকাজ শুরু হতে পারে।
২০২০ সালের ১২ অক্টোবর ভোরে সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে আখালিয়ার এলাকার বাসিন্দা রায়হানকে মারধর করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় পরদিন তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী সিলেট সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও ১০ দিন পরেই মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে হস্তান্তর করা হয়। তদন্ত শেষে গত ৫ মে মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন পিবিআই পরিদর্শক আওলাদ হোসেন। নোমানসহ সাত জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে অভিযোগপত্রে। এর মধ্যে পাঁচ জনই পুলিশ সদস্য।
সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আবুল মোমেন এই হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন গত ৩০ সেপ্টেম্বর। পরে আদালত পলাতক নোমানের বিরুদ্ধে পরোয়ানাও জারি করেন।
সারাবাংলা/টিআর