প্রথম দিনেই বুস্টার ডোজ নিলেন যে ৬ মন্ত্রী
১৯ ডিসেম্বর ২০২১ ১৩:৫৫ | আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ ২১:৫৮
ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ প্রয়োগ শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এরপরে প্রথমেই ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন দেশে প্রথম ভ্যাকসিন নেওয়া কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সেবিকা রুনু ভেরোনিকা কস্তা। এরপরে ক্রমান্বয়ে অন্যরা ভ্যাকসিন নেন। এই তালিকায় রয়েছেন ছয় জন মন্ত্রীও।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ান্স অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) অডিটোরিয়াম হলে ‘বুস্টার ডোজ প্রদান কার্যক্রম’ অনুষ্ঠানে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
বুস্টার ডোজ প্রয়োগ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে রুনু ভেরোনিকার পরে বুস্টার ডোজ নেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কে এম আবদুল মোমেন। এরপর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল নেন করোনা ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ।
পরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, জাতীয় অধ্যাপক ডা. শায়লা খাতুন, পুলিশ সদস্য সুলতান, সাংবাদিক ডলার মাহমুদ, আল মারকাজুল ইসলামীর কর্মকর্তা আমির হামজা, নার্সিং সুপারভাইজার খাদিজা বেগম, বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার আশিফুলসহ কয়েকজনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, প্রথম দিকে বয়স্ক এবং ফ্রন্টলাইনাররা এই ডোজের ভ্যাকসিন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাবেন। পর্যায়ক্রমে ভ্যাকসিন গ্রহীতার সংখ্যা বাড়বে এবং সাধারণ মানুষও এই কার্যক্রমের আওতায় আসবে।
তিনি বলেন, ‘যারা এরইমধ্যে করোনার দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দিয়েছেন এবং সেই ভ্যাকসিন দেওয়ার বয়স ৯ মাসের বেশি হয়েছে, তাদেরকেই বুস্টার ডোজের আওতায় আনা হবে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশেই এ কর্মসূচি চালু হবে।’
উদ্বোধনী দিন হিসেবে আজ ২০ থেকে ২৫ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। এদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি ও ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ান, গণমাধ্যমকর্মীরা রয়েছেন বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘বুস্টার ডোজ দেওয়ার যাবতীয় কার্যক্রম পাশাপাশি সুরক্ষা অ্যাপ আপডেটের কার্যক্রমও চলমান রয়েছে। বুস্টার ডোজ কাদের দেওয়া হবে, সেই তালিকাও তৈরি করা হচ্ছে। আর এ মুহূর্তে সরকারের কাছে ফাইজারের সাত কোটির অধিক ভ্যাকসিন রয়েছে। আগামী মাসে আরও দুই কোটি ভ্যাকসিন আসবে। এ কারণে ভ্যাকসিনের কোনো সংকট হবে না।’
তিনি বলেন, ‘করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের প্রায় ৮৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের দেশে করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন মোকাবিলায় যা যা করণীয়, সে সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যারা বিদেশ থেকে বিমানে আসবেন— বিশেষ করে প্রবাসীরা, তাদের ৪৮ ঘণ্টা আগে করোনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ সনদসহ আসতে হবে। আর কেউ সীমান্ত দিয়ে আসলে, তাদের সবার অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ব্যবস্থাও রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, যত ভ্যাকসিন লাগবে তা সরকারিভাবে ক্রয় করা হবে। দেশের ৭০ শতাংশ মানে ১২ কোটি মানুষকে ২৪ কোটি ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
সারাবাংলা/এসবি/একে