ট্রাফিক সার্জেন্টের বাবার দুর্ঘটনা: ১৩ দিন পর মামলা
১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ২১:৫৩ | আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ১২:৪৩
ঢাকা: ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের বাবা অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য মনোরঞ্জন হাজংয়ের সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় ১৩ দিন পর মামলা নিয়েছে পুলিশ। সড়ক পরিবহন আইনের দুইটি ধারায় দায়ের করা মামলায় গাড়িচালকসহ অজ্ঞাতনামা আরও দু’জনকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে বনানী থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। ডিএমপি’র গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডিসি আসাদুজ্জামান বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) বনানী থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। মহুয়া হাজং মামলার এজাহারে যেভাবে আবেদন করেছেন, সেভাবেই মামলা নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সড়ক পরিবহন আইনের ৯৮ ও ১০৫ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯৮ ধারায় বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর ফলে দুর্ঘটনা এবং ১০৫ ধারায় বেপরোয়া বা অবহেলাজনিত গাড়িচালনার কারণে সংঘটিত দুর্ঘটনায় কারও গুরুতর আহত বা প্রাণহানি ঘটলে তার সাজার বিধান রয়েছে।
বনানী থানা পুলিশ জানিয়েছে, মামলায় দুর্ঘটনায় জড়িত গাড়ির চালক বা আরোহী কারও নাম মামলায় উল্লেখ করা হয়নি। তারা গাড়িটি জব্দ করার এবং আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছেন।
জানা যায়, গত ২ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ২টার দিকে বিমানবন্দর সড়কে একটি প্রাইভেট কারের আঘাতে মনোরঞ্জন হাজং গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (নিটোর, পঙ্গু হাসপাতালে) ভর্তি করা হয়। সেখানে তার ডান পায়ের গোড়ালি কেটে ফেলা হয়। তাতেও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। ৮ ডিসেম্বর আবারও অস্ত্রোপচার করা হয়। এবারে ডান পা হাঁটুর নিচ থেকে কেটে ফেলতে হয়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মনোরঞ্জন হাজং বর্তমানে বারডেম হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন।
মনোরঞ্জন হাজং সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হাবিলদার পদে থেকে অবসরে গিয়েছিলেন। বর্তমানে গুলশানের এক রেস্তোরাঁয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন। তার মেয়ে মহুয়া হাজং ডিএমপিতে ট্রাফিক সার্জন্ট পদে কর্মরত।
সারাবাংলা/ইউজে/টিআর
১৩ দিন পর মামলা টপ নিউজ থানায় মামলা মনোরঞ্জন হাজং মহুয়া হাজং