টি-শার্ট ছিনতাইয়ে ছাত্রলীগ, প্রতিবাদ করে নাক ফাটল নেতার
১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ১৮:৫৬ | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ২২:৪৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রামের সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ কর্তৃপক্ষের বানানো টি-শার্ট ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদ করায় অধ্যক্ষের সামনে ছাত্রলীগের এক নেতাকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কলেজ ক্যাম্পাসে টি-শার্ট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম। এরপর বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ছাত্রলীগ নেতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত মহসীন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মায়মুন উদ্দিন মামুনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মহসীন কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিজয় দিবস উপলক্ষে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা কিছু টি-শার্ট বানিয়েছি। গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যায় সেগুলো ডেলিভারি নিয়ে কলেজে আসছিলেন কয়েকজন কর্মচারী। এসময় তাদের কাছ থেকে কয়েকজন ছাত্র বেশকিছু টি-শার্ট কেড়ে নিয়ে চলে যায়। আমরা তাদের শনাক্ত করেছি। শিক্ষক পরিষদের বৈঠক ডেকেছি। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টি-শার্ট ছিনতাইয়ের ঘটনায় আজাদ, মিনহাজ, সুমন, জীবনসহ আরও কয়েকজন জড়িত ছিলেন, যারা কলেজের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত। মহসীন কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মায়মুন উদ্দিন মামুন তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত।
বৃহস্পতিবার সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে শহিদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে উভয়পক্ষে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে মামুন অধ্যক্ষের কক্ষে গিয়ে টি-শার্ট ছিনতাইয়ের ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন, জানতে চান। বিকেল ৪টার দিকে মামুন আবারও কয়েকজন অনুসারী কর্মী নিয়ে অধ্যক্ষের কক্ষে গিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। তখন অভিযুক্তরা অধ্যক্ষের কক্ষে ঢুকে মামুনের অনুসারী ইমরান হোসেন ইমনকে টেনেহিঁচড়ে বের করে মারধর করতে থাকেন। মামুন প্রতিবাদ করলে তাকেও মারধর করা হয়।
মামুনের অনুসারী ছাত্রলীগকর্মী যুবরাজ দাশ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা প্রিন্সিপ্যাল স্যারের সঙ্গে কথা বলছিলাম। হঠাৎ কয়েকজন ঢুকে প্রথমে ইমনকে মারধর শুরু করে। মামুন ভাই বাধা দিলে প্রিন্সিপ্যাল স্যারের সামনে ফুলের টব ছুঁড়ে মারে। এতে মামুন ভাইয়ের নাকে মারাত্মক জখম হয়েছে। আমরা উনাকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাই।’
জানতে চাইলে অধ্যক্ষ মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, ‘ওদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। এরপর হঠাৎ মারধর শুরু হল। আমি সবাইকে বের করে দিই।’
অভিযুক্তরা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্থানীয় এক কাউন্সিলরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
সারাবাংলা/আরডি/টিআর