সোনার বাংলা গড়ার শপথ নিল চট্টগ্রামও
১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ১৮:১৯ | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ২২:৪৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বাঙালি জাতির জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরের মাইলফলকে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে সোনার বাংলা গড়ার শপথ নিয়েছেন চট্টগ্রামের হাজারও মানুষ। যে চট্টগ্রাম থেকে শুরু হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ, বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে শপথ অনুষ্ঠান ঘিরে সেই চট্টগ্রামে ভিন্নরকম উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়।
চট্টগ্রামে শপথ অনুষ্ঠানের মূল ভেন্যু নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে অন্তত ২০ হাজার মানুষের জমায়েত হয়। শিশু-কিশোর, তরুণ শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন ছিলেন এই জমায়েতে। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে শপথ নেওয়ার এই আয়োজনকে ঘিরে তাদের মধ্যে ছিল অন্যরকম উচ্ছ্বাস।
নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। এতে প্রশাসনের সব স্তরের কর্মকর্তা, নগরীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, রাজনীতিবিদ, পেশাজীবী, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা ছিলেন। বিকেল ৩টা থেকে সুশৃঙ্খলভাবে কয়েকটি গেট দিয়ে আমন্ত্রিতদের ঢোকানো হয়। আলাদা-আলাদাভাবে নির্দিষ্ট সারিতে ভাগ করে বসানো হয়। ডিসপ্লেতে ঢাকা থেকে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠান প্রচার হয়। গ্যালারিতেও ছিল ভিড়। সবাই দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে শপথ নেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক চেতনার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার। সবার হাতে হাতে ছিল লাল-সবুজের পতাকা।
শপথ অনুষ্ঠান শেষে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর ক্ষণে দাঁড়িয়ে আমরা শপথ নিলাম, জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় আমরা যে যেখানে যেভাবে আছি সেভাবেই কাজ করে যাব। জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সামনে ভিশন দিয়েছেন। টুয়েন্টি টুয়েন্টি ওয়ান, টুয়েন্টি ফোরটি ওয়ান— এসব ভিশন বাস্তবায়ন করে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে নিয়ে যেতে যা কিছু দরকার, আমরা সবই করব।’
স্কুলশিক্ষিকা সালমা জাহান মিলি সারাবাংলাকে বলেন, ‘হাজার হাজার মানুষ একসঙ্গে শপথবাক্য পাঠ করা— এ এক অদ্ভূত অনুভূতি! জাতির পিতার কন্যা যখন আমাদের শপথবাক্য পাঠ করাচ্ছিলেন, আমার মধ্যে শিহরণ হচ্ছিল। আমরা মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। কিন্তু বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের গৌরবের অংশ হতে পেরে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। এই শপথ নতুন প্রজন্মের কাছে ভিন্ন তাৎপর্য বহন করবে। তাদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করবে।’
সন্ধ্যায় এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে দেশাত্মবোধক কনসার্টের আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন। এদিকে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্নস্থানে ডিজিটাল ডিসপ্লেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শপথপাঠ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়। সেখানে সমবেতরাও শপথ নেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা
মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের শেখ রাসেল চত্বরে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে গিয়েছিলেন বলেই আমরা এই স্বাধীন ভূখণ্ড পেয়েছি। জাতির বীর সন্তানদের দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হই। দেশ স্বাধীন হলেও এমনকি ৫০ বছর পরও স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনও তৎপর। আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, পুলিশ সুপার রশিদুল হক, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, জেলার ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার এ কে এম সরোয়ার কামাল বক্তব্য রাখেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন
নগরীর প্যারেড ময়দানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আয়োজনে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘পাকিস্তান ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের বিরুদ্ধে অন্যরকম আবহে এবার বিজয় দিবস উদযাপন হচ্ছে। কারণ এবারের বিজয় দিবস হচ্ছে তাদের পরাজিত করার ৫০ বছর পূর্তি। পৃথিবীতে বাঙালিই একমাত্র জাতি যারা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে আমাদের শপথ নিতে হবে— মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মৌলবাদ, জঙ্গিবাদকে পরাস্ত করতে হবে। তাদের আশ্রয়দাতা বিএনপিসহ সব উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাজিত করতে হবে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলার শপথ নিতে হবে।’
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন ও আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, নিছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু, হাসান মুরাদ বিপ্লব, মো. জাবেদ, শৈবাল দাশ সুমন, গাজী শফিউল আজিম, আতাউল্লাহ চৌধুরী, নুর মোস্তফা টিনু, জেসমিন পারভীন জেসী, ফেরদৌসী আকবর, রুমকী সেনগুপ্ত, হুরে আরা বেগম, শাহীন আক্তার রোজী ও তছলিমা বেগম, চসিকের সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ
বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা করেছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ। এতে সভাপতিত্ব করেন নগর কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।
সভায় নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে। এই বিজয় আমাদের জন্য সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে দেয়। বিজয়ের ৫০ বছরে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে এগিয়ে যাচ্ছে প্রিয় স্বদেশ। জাতিসংঘ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ, মহেশখালীতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, মীরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরসহ সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের প্রতিটি ঘরে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। বাংলাদেশ বিশ্বে অন্যতম আদর্শ দেশ হিসেবে অবস্থান করে নিয়েছে।’
সভায় নগর আওয়াম লীগের নেতাদের মধ্যে আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, শফিকুল ইসলাম ফারুক, শফিক আদনান, হাসান মাহমুদ হাসনী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান বক্তব্য রাখেন।
সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম
চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, ‘একাত্তরে যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তারা ৫০ বছরেও আমাদের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি। তাই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে এসে তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করছে। তারা স্বাধীনতাকে বিনষ্ট করার অপচেষ্টা করছে। এদের বিরুদ্ধে একাত্তরের মতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর লালদীঘি চত্বরে সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি নুরুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মহানগরের সভাপতি ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমেদ, ফোরকান উদ্দিন, সেলিম চৌধুরী, সাহেদ মুরাদ শাকু, সাইফুন্নাহার খুশী, পলাশ বড়ুয়া, নুরুল হুদা চৌধুরী, ফজলুল হক সিদ্দিকী, চন্দন দত্ত, কামাল হোসেন রিজভী, মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, দীপন দাশ, মঈনুল আলম খান, নাজিম উদ্দিন, সরোয়ার আলম চৌধুরী মনি, রাজীব চন্দ, নুরুল হোসেন মাসুদ, ফারজানা আকতার মিলা, সোহেল ইকবাল, ইসমে আজিম আসিফ, শীলা চৌধুরী, উজ্বল দাশ, আবিদ হাসান, ভাষ্কর দেব, আশরাফ খান, এস এম রাফি, অসীম দাশগুপ্ত, আঁচল চক্রবর্তী, কাকলী তালুকদার, মাহিদুল ইসলাম, ইকবাল করিম, শাহাদাত টিপু, অঞ্জন সেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি নগরীর নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে বৃহস্পতিবার সকালে বিজয় দিবসের আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে নগর কমিটির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের হাতে দেশ ও স্বাধীনতা নিরাপদ নয়। যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছেন, আজকের বাংলাদেশ তাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ নয়। দেশে আজ গণতন্ত্র নেই। বিজয়ের ৫০ বছরে এসে আজ সবাইকে গণতন্ত্র ফেরানোর শপথ নিতে হবে।’
সভায় কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, নগর কমিটির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মিয়া ভোলা, আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, ইকবাল চৌধুরী, নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাসেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, মো. কামরুল ইসলাম, নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহেদ, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বক্তব্য রাখেন।
ছাত্র ইউনিয়ন
মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে সব জাতিসত্ত্বার স্বীকৃতিসহ বাহাত্তরের সংবিধান ফেরত আনার দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা ছাত্র ইউনিয়ন। সকালে শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এক সভায় সংগঠনের নেতারা বলেন, ‘বিজয়ের ৫০ বছর পরও দেশবাসী অনুভব করছে কাঙ্ক্ষিত বিজয় এখনো বহু দূর। বিজয়ের এত বছর পরও আমরা রাজাকারের সঠিক তালিকা দেখতে পাই না। মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বাড়ে আর কমে। বীর শহিদদের স্মৃতি সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেই। সাম্প্রদায়িক শক্তি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রত্যক্ষ সহায়তায় রাজনীতি করে যাচ্ছে। দাবি জানাই— দেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক। সব জাতিসত্ত্বার স্বীকৃতিসহ বাহাত্তরের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে মুক্তিযুদ্ধের ধারায় বাংলাদেশ পরিচালিত হোক।’
ছাত্র ইউনিয়নের উদ্যোগে শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি এবং শহিদ বুদ্ধিজীবীদের জীবনীভিত্তিক আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয় ৷ এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের জেলা সভাপতি এ্যানি সেন, সাংগঠনিক সম্পাদক টিকলু কুমার দে, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাদিয়া নূর প্রাপ্তি, কোতোয়ালি থানার সাধারণ সম্পাদক অয়ন সেনগুপ্ত, হালিশহর থানার সাধারণ সম্পাদক তানভীর ইলাহী, সহ সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফ, পাহাড়তলী থানার সাধারণ সম্পাদক নিশান রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক দুর্বার দেবনাথ।
সারাবাংলা/আরডি/টিআর