Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মুরাদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে মামলা

সারাবাংলা ডেস্ক
১২ ডিসেম্বর ২০২১ ১৪:৩৯ | আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২১ ১৭:১৭

ডা. মুরাদ হাসান, ফাইল ছবি

ঢাকা: চট্টগ্রাম সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করা হয়েছে। একইসঙ্গে রাজশাহীতেও তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার মেয়ে জাইমা রহমান সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের অভিযোগে এ আবেদন করা হয়েছে।

রোববার (১২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন দাখিল করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এস এম বদরুল আনোয়ার। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি। এদিকে আজ বেলা ১২টার দিকে রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালে এই মামলা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এ দুই মামলাতেই মুরাদ হাসানের সঙ্গে উপস্থাপক মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।

বাদির আইনজীবী এনামুল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সুনির্দিষ্ট চারটি ধারায় মামলার আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। আদালত পরে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।’

এদিকে রোববার বেলা ১২টার দিকে রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালে মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরে সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জিয়াউর রহমান মামলাটি গ্রহণ করেছেন। বগুড়া আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে এই মামলা করেন।

এ বিষয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, শেখ মহিউদ্দিন হেলালের ভার্চুয়াল টকশোতে অংশ নিয়ে ডা. মুরাদ হাসান ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে অশ্লীল ও শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্য দিয়েছেন। এ কারণে তিনি মামলাটি দায়ের করলেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করলেও কোনো আদেশ দেননি। পরবর্তীতে আদালত এ ব্যাপারে আদেশ দেবেন।

বিজ্ঞাপন

আদালতে মামলা করার সময় রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, রাজশাহী আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজ তৌফিক জাহিদীসহ বগুড়া ও রাজশাহীর জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, গত ১ ডিসেম্বর নাহিদ মুরাদ হাসানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন, যা পরবর্তীতে মুরাদ হাসান তার ফেসবুক ভেরিফাইড পেজে প্রচার ও প্রকাশ করেন। ওই সাক্ষাৎকারে মুরাদ হাসান উদ্দেশ্যমূলকভাবে জিয়া পরিবার এবং ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ, মিথ্যাচার, নারী বিদ্বেষী, মানহানিকার অশ্লীল মন্তব্য করেন।
ফেসবুকের মাধ্যমে এসব বক্তব্য সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়লে সর্বমহলে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯, ৩১ ও ৩৫ ধারায় শস্তিযোগ্য হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়না জারির আবেদন করা হয়।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন টকশো ও অনুষ্ঠানে নানা বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য ও ঢাকাই সিনেমার এক নায়িকার সঙ্গে অডিও ফাঁসের ঘটনায় ডা. মুরাদকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে তিনি পদত্যাগ করেন। একইসঙ্গে জামালপুর আওয়ামী লীগের পদ থেকে অব্যাহতি পান তিনি।

সারাবাংলা/আরডি/এনএস

টপ নিউজ ডা. মুরাদ ডা. মুরাদ হাসান মামলা মুরাদ হাসান

বিজ্ঞাপন

চলে গেলেন প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪২

আরো

সম্পর্কিত খবর