Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মুরাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১২ ডিসেম্বর ২০২১ ১১:৩৫ | আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২১ ১৭:১৭

ডা. মুরাদ হাসান, ফাইল ছবি

ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমান সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল ভাষায় নারী বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের অভিযোগে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানসহ দুইজনের বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল মামলার আবেদন করা হয়েছে।

রোববার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন ঢাকা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকী । আদালত ছুটিতে থাকায় আগামীকাল সোমবার শুনানির দিন রেখেছেন।

বিজ্ঞাপন

মামলার অপর আসামি হলেন মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদ। আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আবেদন থেকে জানা যায়, তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমান যুক্তরাষ্ট্রের লিংকন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ব্যারিস্টার অ্যাট ল’ ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে আইন পেশায় নিয়েজিত রয়েছেন। জইমা রহমানের দাদা মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডর ও সাবেক প্রেসিডিন্ট জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম), দাদি তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। মামলার আসামি ডা. মুরাদ হাসান বর্তমান সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ছিলেন এবং ২ নং আসামি নাহিদ একজন মিডিয়া উপস্থাপক।

গত ১ ডিসেম্বর আসামি নাহিদ আসামি ডা. মুরাদ হাসানের স্বাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। যা পরবর্তীতে আসামি ডা. মুরাদ হাসান তার ফেসবুক ভেরিফাইড পেজে প্রচার ও প্রকাশ করেন। ওই স্বাক্ষাৎকারের ডা. মুরাদ হাসান উদ্দেশ্যমূলকভাবে জিয়া পরিবার এবং ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ, মিথ্যাচার, নারী বিদ্বেষী, মানহানিকার অশ্লীল মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

মামলায় আরও বলা হয়, আসামি ডা. মুরাদ হাসান সংবিধানের ১৪৮ অনুচ্ছেদের তৃতীয় তফসিল অনুয়ায়ী যে সাংবিধিানিক শপথ গ্রহণ করেছিলেন তা এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে লঙ্ঘন করেছেন তিনি। আসামিদের এমন কর্মকাণ্ড ফেসবুকের মাধ্যমে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। যা সর্বমহলে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন মহল থেকে আসামি ডা. মুরাদের মন্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং জানাচ্ছে। এটা জিয়া পরিবার ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমানসহ সমগ্র নারী সমাজের জন্য মানহানিকার ও অপমানজনক। ওই মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়েছে। তাই এ অপরাধ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫/২৯/৩১/৩৫ ধারায় শস্তিযোগ্য হওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগটি আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা প্রয়োজন।

বিভিন্ন টকশো ও অনুষ্ঠানে নানা বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য ও ঢাকাই সিনেমার এক নায়িকার সঙ্গে অডিও ফাঁসের ঘটনায় ডা. মুরাদকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে তিনি পদত্যাগ করেন। একইসঙ্গে জামালপুর আওয়ামী লীগের পদ থেকে অব্যাহতি পান তিনি।

সারাবাংলা/এআই/এনএস

টপ নিউজ ডা. মুরাদ ডা. মুরাদ হাসান মুরাদ হাসান

বিজ্ঞাপন

চলে গেলেন প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪২

আরো

সম্পর্কিত খবর