আবরার হত্যাকাণ্ডের রায়ে সন্তুষ্ট বুয়েট উপাচার্য
৮ ডিসেম্বর ২০২১ ১৫:১৬
ঢাকা: আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড মামলার রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদার। অল্পসময়ের মধ্যে যেভাবে রায় প্রদান করা হয়েছে, সেভাবেই যেন বিচারবিভাগ দ্রুত রায় কার্যকরে সচেষ্ট থাকেন—এই আশাবাদ তিনি ব্যক্ত করেছেন।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সারাবাংলার সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে, আজ দুপুরেই ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ২০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং আরও পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদার সারাবাংলাকে বলেন, সাধারণত যতটুকু সময় লাগে, তার চেয়ে কম সময়ে বিচার হয়েছে। যদিও কোভিডের কারণে মাঝে একটু সময় লেগেছে। তবুও দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল দ্রুতই রায় দিয়েছে এবং সঠিকভাবেই রায় দিয়েছে বলে আমি মনে করি। কারণ এখানে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা আছে জানিয়ে দ্রুত রায় কার্যকর করা হবে—এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, বিচার বিভাগের প্রতি আমাদের আস্থা আছে এবং থাকবে। আমি আশা করি, দুটো ট্রাইবুনাল যেভাবে অল্প সময়ের মধ্যে রায় দিয়েছে, ঠিক তেমনই দ্রুত এই রায় কার্যকরের ক্ষেত্রেও তারা সচেষ্ট থাকবেন।
২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর ভোরে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তড়িৎকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। ওই হলের ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন তিনি। হলের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রাতে শিবির সন্দেহে তাকে হলের ২০১১ নম্বর রুমে ডেকে নিয়ে যান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সেখানে তাকে নির্মমভাবে পেটানো হয়। অমানবিক নির্যাতনের একপর্যায়ে প্রাণ হারান আবরার ফাহাদ।
এ ঘটনায় প্রথমে বুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরে আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান। এর মধ্যে ১৯ জন ছিলেন এজাহারভুক্ত আসামি, তদন্তে জড়িত প্রমাণ পাওয়ায় বাকি ছয় জনকে অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই ২৫ আসামির মধ্যে ২২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ রায় ঘোষণার সময় তাদের সবাইকে আদালতে হাজির করা হয়।
সারাবাংলা/আরআইআর/এসএসএ