আবরার হত্যা মামলার ২২ আসামি আদালতে
৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০৯:৫৬ | আপডেট: ৮ ডিসেম্বর ২০২১ ১০:৫২
ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার নির্ধারিত দিনে ২২ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া নয়টার দিকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাদের ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নিয়ে আসা হয়।
আসামিদের মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় তাদের রাখা হয়েছে। দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করবেন। রায় ঘোষণার আগে তাদের এজলাসে তোলা হবে।
এদিকে রায়কে কেন্দ্র আদালতপাড়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অর্ধশতাধিকের বেশি আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী নিয়োজিত করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৮ নভেম্বর আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। ওইদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
মামলাটিতে মোট ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। এর আগে, ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রটি আদালতে জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান।
অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি ১৯ জন। এছাড়া তদন্তে আরও ছয় জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এর মধ্যে ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিন জন পলাতক রয়েছে। তাদের মধ্যে আট জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
চার্জশিট ভুক্ত আসামিরা হলেন— মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু।
চার্জশিট ভুক্ত পলাতক তিন আসামিরা হলেন— মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ ।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর ভোরে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তী সময়ে জানা যায়, শিবির সন্দেহে তাকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে মেরেছে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ পরিপ্রেক্ষিতে আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
সারাবাংলা/এআই/এএম
২২ আসামি ২২ আসামি আদালতে আবরার হত্যা টপ নিউজ বুয়েট শিক্ষার্থী