‘অস্ট্রেলিয়া পার্লামেন্টে এক-তৃতীয়াংশ নারী যৌন হয়রানির শিকার’
১ ডিসেম্বর ২০২১ ১৫:০৮ | আপডেট: ১ ডিসেম্বর ২০২১ ১৮:০২
অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পার্লামেন্টে কর্মচারীদের এক-তৃতীয়াংশ নারীই নিজ কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির শিকার বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে দেশটির এক মন্ত্রীর দফতরের সাবেক কর্মচারী ব্রিটানি হিগিন্স অভিযোগ করেছিলেন- তারই একজন সহকর্মী তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর থেকে দেশটির রাজধানী ক্যানবেরায় এমন অনেক অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। খবর বিবিসি।
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে চালান ‘সেট দ্য স্ট্যান্ডার্ড’ নামের অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) পার্লামেন্টে উত্থাপণ করা হয়। এটার জন্য ১ হাজার ৭২৩ জন ব্যক্তি ও ৩৩টি প্রতিষ্ঠানের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে।
যৌন বৈষম্য সংক্রান্ত কমিশনার কেট জেংকিন্স এই প্রতিবেদনটির তৈরি করেন। তিনি জানান, এসব ঘটনার ভুক্তভোগী নারীদের সংখ্যা অনেক বেশি, যা অবিশ্বাস্য।
ওই প্রতিবেদেন বলা হয়, কর্মচারীদের ৫১ শতাংশেরই কোনো না কোনো যৌন হয়রানি এবং যৌন আক্রমণ বা আক্রমণের চেষ্টা অভিজ্ঞতা হয়েছে। এর মধ্যে নারী পার্লামেন্ট সদস্যদের ৬৩ শতাংশই যৌন হয়রানির শিকার। আর নারী রাজনৈতিক কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এই অনুপাত আরও বেশি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক এমপি বলেন, ‘উচ্চাকাঙ্ক্ষী পুরুষ রাজনীতিবিদরা এগুলোকে কোনো ঘটনাই মনে করে না। নারীদের উঠিয়ে নেওয়া, ঠোঁটে চুমু দেওয়া, স্পর্শ করা, নিতম্বে চাপড় দেওয়া ও নারীর চেহারা নিয়ে মন্তব্য করা- এগুলো তাদের কাছে সাধারণ ঘটনা।’
মিজ জেংকিন্স বলেন, এসব ঘটনার শিকার এবং তাদের সহযোগীদের জন্য এসব ছিল মর্মান্তিক। যাতে করে পার্লামেন্টের কাজের মান ক্ষুণ্ণ করেছে, দেশেরও ক্ষতি হয়েছে।
এই প্রতিবেদনকে ‘চরম দুঃখজনক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। তবে নারী অধিকার ও নিরাপত্তার বিষয়ে মরিসন উদাসীন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য নেতৃত্বের মান উন্নয়ন, নারী-পুরুষের অনুপাত বাড়ানো এবং মদ্যপানের প্রবণতা কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
সারাবাংলা/এনএস