আহত শতাধিক, গ্রেফতার অর্ধশত: রিজভী
২৩ নভেম্বর ২০২১ ১৭:১০ | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২১ ১৯:০৯
ঢাকা: কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সোমবার (২২ নভেম্বর) পুলিশের হামলায় দেশব্যাপী বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন, গ্রেফতার হয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক। মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ কারাবাসে ফলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দেশনেত্রীর পরিবার এবং দলের পক্ষ থেকে সরকারের নিকট দেশনেত্রীর উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জন্য আবেদন করা হলেও সরকার অমানবিকভাবে উদাসীন ও নির্বিকার থাকছে।
‘দেশনেত্রীকে বিদেশে সুচিকিৎসার জন্য পাঠাতে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী ধারাবাহিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। কিন্তু সরকারের নির্দয় আচরণের কোনো পরিবর্তন হয়নি। দুর্বিনীত আক্রমণ, হামলা ও নির্যাতনসহ সকল ধরনের অত্যাচারের যন্ত্র নামিয়ে আনা হয়েছে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর’—অভিযোগ রুহুল কবির রিজভীর।
তিনি জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দাবিতে সমাবেশ পালনকালে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে নরসিংদী জেলা বিএনপির কার্যালয়ে পুলিশ অবরুদ্ধ করে রাখে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খায়রুল কবির খোকন কার্যালয় থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হলেও নেতাকর্মীরা অনেক রাত পর্যন্ত অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকে।’
এছাড়া খুলনায় কর্মসূচি পালনকালে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু পুলিশের অতর্কিত হামলায় গুরুতর আহত হন। ১৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জামিরুল ইসলাম জামিল, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সোহাগ, ২৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হেদায়েত হোসেন, বিএনপি কর্মী জাহাঙ্গির, মোস্তফা, মোল্লা ইউনুছ, তৌহিদুজ্জামান মুকুল, ওয়ার্ড যুবদল নেতা সাহাবুদ্দিনসহ ৮ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ—জানান রুহুল কবির রিজভী।
তিনি আরও জানান, দেশব্যাপী সমাবেশ চলাকালে সোমবার (২২ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন তোফাকে গ্রেফতার করা হয়। নাটোর এবং সাতক্ষীরা জেলা সমাবেশে পুলিশি হামলা ও অসংখ্য নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়। কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলা বিএনপি অফিস ব্যাপকভাবে ভাংচুর করা হয়।
রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী সরকারের মধ্যে অন্যের প্রতি সম্মান ও সহনশীলতার ছিটেফোঁটাও নেই। একটি উন্মুক্ত ও কার্যকরী নির্বাচনের বদলে যাদের জীবনদর্শন একদলীয় নাৎসীবাদের ওপর প্রতিষ্ঠিত তারা গুরুতর অসুস্থ দেশনেত্রীর মৌলিক মানবাধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন এটাই স্বাভাবিক।’
তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম জিয়ার কিছু হলে দেশের কোটি কোটি জনতা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। আমরা আবারও আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে দেশনেত্রীর মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ পাঠাতে উদ্যোগ গ্রহণ করুন।’
সারাবাংলা/এজেড/এসএসএ