‘খালেদা জিয়া বেঁচে আছেন- এই সংবাদ শেখ হাসিনাকে আতঙ্কিত করে’
১৭ নভেম্বর ২০২১ ১৪:০২ | আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২১ ১৭:০৯
ঢাকা: ‘বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বেঁচে আছেন- এই সংবাদ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আতঙ্কি করে’- এমনটিই মন্তব্য করেছেন রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত মিলাদ-মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন। খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, ‘আইনমন্ত্রীর কথা শুনলে মনে হয়- নির্যাতনের জন্য, নিপীড়নের জন্য, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে ধ্বংস করার জন্যই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যে মামলায় তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে, সে মামলায় তার ন্যূনতম, বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততার প্রমাণ নেই। মামলায় যে অভিযোগ করা হয়েছে, সেখানে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কোনো স্বাক্ষর থাকার প্রমাণ তারা দিতে পারেনি।‘
‘তিনি (খালেদা জিয়া) বাইরে থাকলে শেখ হাসিনার পথের কাঁটা হবে। অনির্বাচিত অবস্থায় ক্ষমতায় থাকতে কষ্ট হবে। এ কারণেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সাজানো, বানোয়াট, মিথ্যা মামলায় কারাগারে রাখা হয়েছে’- বলেন রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অস্তিত্ব শেখ হাসিনার জন্য আতঙ্কের কারণ। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বেঁচে আছেন- এই সংবাদ শেখ হাসিনাকে কাল বৈশাখী ঝড়ের মতো আতঙ্কিত করে তোলে। এ কারণেই তিলে তিলে নিঃশেষ করার জন্য তাকে কারাগারে বন্দি করে রেখে নানাবিধ যন্ত্রণা দিচ্ছে। তাকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। তাকে যখন কারাগারে রাখা হয়, তখন একজন সাধারণ মানুষের যে অধিকার সেই অধিকারও তাকে দেওয়া হয়নি।’
রিজভী বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) যখন মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের আমলে গ্রেফতার হয়েছিলেন, তখন বিদেশে গেছেন এবং উন্নত চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। তখন কোন আইনে গেছেন?’
আইনমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনি মিথ্যা কথা বলছেন। আপনি সেই ব্যক্তি, যিনি মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের আমলে দুদকের প্রধান আইনজীবী হিসেবে এদেশের এই দেশের রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কাজ করেছেন। আপনি এতো নির্দয়, এতো মানসিকভাবে অসুস্থ, আপনি শেখ হাসিনাকে খুশি করার জন্য বিএনপির নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধে হেন কোনো কাজ নাই, যা আপনি করছেন না।’
‘আদালতকে কব্জায় নিয়ে, পকেটের মধ্যে নিয়ে আপনার (আইনমন্ত্রী) মতো এতো হীন, এতো খারাপ কাজ পৃথিবীতে কেউ করেনি। আর আপনি বলছেন, কারাগারে ফিরে আবেদন করতে হবে। তাহলে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা কী করে বিদেশে চিকিৎকসার জন্য গিয়েছিল, আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল কী করে গিয়েছিল? সেদিন কোন আইনে গিয়েছিল? এর আগেও কারাগারে থাকা অবস্থায় আ স ম আব্দুর রব বিদেশে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। এ রকম অসংখ্য দৃষ্টান্ত আছে’- বলেন রুহুল কবির রিজভী।
মিলাদ মাহফিলে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী সদস্য আমিনুল ইসলাম, জাসাসের সভাপতি হেলাল খান, সাধারণ সম্পাকদ জাকির হোসেন প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/এএম