৯৫টি দেশে করোনার ওষুধ তৈরিতে ফাইজারের চুক্তি
১৭ নভেম্বর ২০২১ ১২:৩৬ | আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২১ ১২:৫৭
বিশ্বের ৯৫টি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশকে নিজের তৈরি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধি ওষুধ উৎপাদনের জন্য অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ফাইজার। আন্তর্জাতিকভাবে স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা মেডিসিন পেটেন্ট পুল’র (এমপিপি) সঙ্গে এ বিষয়ে লাইসেন্স জনিত একটি চুক্তি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। খবর রয়টার্স।
ফাইজারের পক্ষ থেকে গতকাল মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। জাতিসংঘ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত এমপিপি’র সঙ্গে ফাইজারের স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে এই চুক্তি হয়েছে।
এই চুত্তির ফলে ফাইজারের তৈরি মুখে খাওয়ার করোনার অ্যান্টি-ভাইরাসটি উৎপাদনের জন্য সাব-লাইসেন্স পেয়েছে এমপিপি। যার নাম হবে পিএফ-০৭৩২১৩৩২। আর ফাইজার কর্তৃক উৎপাদিত এই ওষুধের নাম হবে প্যাক্সলোভিড।
তবে এই চুক্তির সমালোচনা করেছে দাতব্য সংস্থা মেডিসিনস সানস ফ্রন্টিয়েরেস। সংস্থাটি জানিয়েছে, এই চুক্তিটি নিরাশাজনক। এটি আর্জেন্টিনা ও চীনের মতো দেশগুলোকে নিয়ন্ত্রণ ও বাধাগ্রস্ত করবে। যারা ইতোমধ্যে নিজ উদ্যোগে এই ধরনের ওষুধ উৎপাদনের সক্ষমতা তৈরি করেছে।
এমএসএফের সিনিয়র আইনি নীতি উপদেষ্টা ইউয়ানকিয়ং হু বলেছেন, ফাইজারের তৈরি নতুন এই ওষুধটির ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা হাসপাতালে ভর্তি প্রাপ্ত বয়স্ক গুরুতর রোগীদের মৃত্যুর হার ৮৯ শতাংশ কমিয়েছে। এই ওষুধটি রিটোনাভির’র সংমিশ্রণে তৈরি, যা ইতোমধ্যে এইচআইভি’র ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
ফাইজার ও এমপিপি জানিয়েছে, এই ৯৫টি দেশের মধ্যে বিশ্বের প্রায় ৫৩ শতাংশ জনসংখ্যা রয়েছে। এর মধ্যে নিম্ন ও নিম্ন মধ্য আয়ের দেশগুলোর পাশাপাশি সাব-সাহারান আফ্রিকার কিছু উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশও রয়েছে। এছাড়াও গত পাঁচ বছরে নিম্ন-মধ্যম থেকে উচ্চ-মধ্য-আয়ে উন্নীত হওয়া দেশগুলোকেও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ফাইজার তার প্রতিদ্বন্দ্বী মার্ক অ্যান্ড কোম্পানির সঙ্গে একই ধরনের চুক্তি করেছে। করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে কার্যক্রর চিকিৎসা স্বীকার করে নিয়ে এই চুক্তি করেছে কোম্পানিটি। একইসঙ্গে সবার জন্য কম খরচে ওষুধগুলোর সরবরাহ নিশ্চত করারও চাপ রয়েছে কোম্পানিগুলোর ওপর।
সারাবাংলা/এনএস