আজ আদালতে হাজিরা দেবেন পরীমনি
১৫ নভেম্বর ২০২১ ০০:১৩
ঢাকা: বনানী থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে আইনের মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে আসবেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনি। বনানী থানায় পরীমনিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা এই মামলাটি অভিযোগপত্র গ্রহণের শুনানি পর্যায়ে রয়েছে।
পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সোমবার (১৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে পরীমনি আদালতে হাজির হতে পারেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে পরীমনিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মাদকের মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণের শুনানির জন্য দিন নির্ধারিত রয়েছে।
গত ১২ অক্টোবর মামলাটি ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। এরপর আদালত মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য এই তারিখ নির্ধারণ করে দেন।
আরও পড়ুন-
- আদালতে পরীমনি
- আত্মসমর্পণের পর জামিন পেলেন পরীমনি
- অসুস্থ হয়ে এজলাস কক্ষেই শুয়ে পড়েন পরীমনি
- পরীমনির রিমান্ড: ২ বিচারকের ক্ষমা প্রার্থনা, রায় ২৫ নভেম্বর
- পরীমনির উপস্থিতিতে মাদক মামলার চার্জশিট গ্রহণ ২৬ অক্টোবর
- পরীমনির রিমান্ড: ফের দুই বিচারকের ব্যাখ্যা চেয়েছেন উচ্চ আদালত
এর আগে, গত ৪ অক্টোবর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় পরীমনিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে এই মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল। মামলার বাকি দুই আসামি হলেন— আশরাফুল ইসলাম দীপু ও কবীর হাওলাদার।
গত ৪ আগস্ট বিকেল ৪টার পরপরই বনানীর ১২ নম্বর রোডের পরীমনির বাসায় অভিযান শুরু করে র্যাব। দীর্ঘ চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ওই বাসায় অভিযানের পর বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। সেই রাতেই পরীমনিকে আটক করে র্যাব সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন বনানী থানায় মাদকের মামলাটি দায়ের করা হয়।
এই মামলায় পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ আগস্ট চার দিন এবং ১০ আগস্ট দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। গত ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর আবারও ১৯ আগস্ট একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে পরীমনিকে ফের কারাগারে পাঠানো হয়।
এরপর ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ পরীমনির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। পরদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে পরীমনি কারামুক্ত হন।
পরীমনিকে মাদকের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বারবার রিমান্ড মঞ্জুর ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর নিয়ে অবশ্য ব্যাপক সমালোচনা হয়। এক পর্যায়ে গিয়ে উচ্চ আদালত থেকে সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতের দুই বিচারককে তলব করে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। তাদের ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হওয়ায় আদালত তাদের ভর্ৎসনাও করেন।
ফাইল ছবি
সারাবাংলা/এআই/টিআর
অভিযোগপত্র গ্রহণের শুনানি আদালতে পরীমনি টপ নিউজ পরীমনি মাদকের মামলা