৫ মাদকসেবীকে ব্যতিক্রমী সাজা

প্রতীকী ছবি

ঢাকা: রাজধানীতে পৃথক পাঁচ মাদকের মামলায় পাঁচ আসামিকে কোনো প্রকার কারাদণ্ড না দিয়ে ব্যতিক্রমী সাজা দিয়েছেন আদালত। তাদের ছয় মাস পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করতে হবে। আর আদেশের শর্ত ভঙ্গ করলে সাজাভোগ করতে হবে আসামিদের।

মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তারের আদালত এ আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ওই আদেশে উল্লেখ করা হয়, আগামী ৬ মাস পর্যন্ত সপ্তাহে একদিন ঢাকা দক্ষিণ অথবা উত্তর সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধীনে পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালনসহ পাঁচ শর্ত দিয়েছেন আদালত।

সাজা প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বাড্ডা থানার ১৫ পিছ ইয়াবা মামলার আসামি রফিকুল ইসলাম, লালবাগ থানার ১০০ গ্রাম গাজার আসামি রুবেল, মুগদা থানার ১৫ পিছ ইয়াবা মামলার আসামি হাসান, চকবাজার থানার ১৫ পিছ ইয়াবার মামলার আসামি উমর ফারুখ এবং মিরপুর থানার ৫০০ গ্রাম গাঁজার আসামি মো. শাহাবুল ইসলাম।

এ বিষয়ে আজাদ রহমান বলেন, এই পাঁচ মামলা আজ (মঙ্গলবার) চার্জশুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। আসামিরা নিজেদের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এরপর আদালত আসামিদের প্রচলিত সাজার পরিবর্তে প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে এক বছরের জন্য প্রবেশন মঞ্জুর করেন। তারা শর্ত না মানলে তাদের সাজাভোগ করতে হবে।

শর্তগুলো হলো: ১. প্রবেশনকালীন সময়ে আসামিরা কোনো প্রকার অপরাধের সঙ্গে জড়িত হবেন না বা একই অপরাধ আর করবে না। ২. ধর্মীয় আচরণবিধি ও অনুশাসন মেনে চলবে ৩. আসামিরা অসৎ ও খারাপ সঙ্গ ত্যাগ করবে। ৪.মাদকদ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকবে। ৫. আগামি ৬ মাস পর্যন্ত সপ্তাহে একদিন ঢাকা দক্ষিণ বা উত্তর সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধীনে পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করবে।

আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামিদের শাস্তির পরিবর্তে সংশোধনের সুযোগ প্রদান করা সমীচীন মর্মে গণ্য হলো। আসামিদের দেশের একজন সৎ পরিশ্রমী ও আইন মান্যকারী নাগরিক হিসেবে পুর্নবাসনের লক্ষ্যে এবং একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি বা অপরাধী কর্তৃক অন্যান্য অপরাধ সংঘটন প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে পাঁচ শর্তে প্রবেশন মঞ্জুর করা হলো।

সারাবাংলা/এআই/এনএস

ব্যতিক্রমী সাজা মাদকসেবী