Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চতুর্থ স্ত্রীকে খুন করে দ্বিতীয় স্ত্রীর ‘আশ্রয়ে’ ১৬ মাস

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৯ নভেম্বর ২০২১ ১৫:১০ | আপডেট: ৯ নভেম্বর ২০২১ ১৭:৪৬

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে নিজ বাসা থেকে ‍তরুণীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তার স্বামী ও সতীনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, স্বামী চট্টগ্রামে তার চতুর্থ স্ত্রীকে খুন করে বাগেরহাটে দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে চলে গিয়েছিল। প্রায় ১৬ মাস ধরে আত্মগোপনে থাকার পর তাকে এবং চট্টগ্রামে অবস্থানকারী তার তৃতীয় স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার (৮ নভেম্বর) বাগেরহাটে মোংলায় অভিযান চালিয়ে স্বামী সোহাইল আহমেদকে (৩৮) এবং চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা এলাকা থেকে তৃতীয় স্ত্রী নাহিদাকে (২৮) গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

২০২০ সালের ২১ জুলাই চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর রহমানবাগ আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে আনুমানিক ২৫ বছর বয়সী তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধার করলেও পুলিশ সেসময় তার পরিচয় জানতে পারেনি। তদন্তে নেমে ১৬ মাসের মাথায় পুলিশ ওই তরুণীর পরিচয় শনাক্ত করে। তার নাম লাকী আক্তার পিংকী।

নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) আব্দুল ওয়ারিশ সারাবাংলাকে জানান, গ্রেফতার লাকী সোহাইলের চতুর্থ স্ত্রী। এর আগে সে আরও তিনটি বিয়ে করে। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। দ্বিতীয় স্ত্রীকে বাগেরহাট, তৃতীয় স্ত্রী নাহিদাকে নগরীর পতেঙ্গায় এবং চতুর্থ স্ত্রী লাকীকে হালিশহরে বাসা ভাড়া করে আলাদাভাবে রেখেছিলেন। লাকী, নাহিদা এবং সোহাইল চট্টগ্রামে একই পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ২০১৬ সালে সহকর্মী নাহিদাকে এবং ২০২০ সালে লাকীকে বিয়ে করে সে।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত ‍উপ-কমিশনার (পশ্চিম) পংকজ দত্ত সারাবাংলাকে বলেন, ‘সোহাইল ধূর্ত প্রকৃতির লোক। রেজাউল করিম নামে অন্য একজনের জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিয়ে সে লাকীর জন্য বাসা ভাড়া নিয়েছিল। এজন্য লাকী এবং তার জন্য বাসা ভাড়া নেওয়া ব্যক্তির তথ্য পেতে আমাদের সময় লেগেছে। সোহায়েল আত্মগোপনে গিয়ে মোবাইলের কমপক্ষে পাঁচটি সিম পরিবর্তন করে। তবে প্রথম ব্যবহার করা মোবাইল সিমের সূত্র ধরেই তার সন্ধান মিলেছে।’

বিজ্ঞাপন

সোহাইলের তথ্যে লাকীকে খুনের বর্ণনা দিয়ে হালিশহর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আল মামুন সারাবাংলাকে জানান, বিয়ের পর থেকে লাকীকে বিভিন্ন কারণে সন্দেহ করত সোহাইল। লাশ উদ্ধারের চার দিন আগে ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় তার তৃতীয় স্ত্রী নাহিদা রহমানবাগের বাসায় আসেন। ওইদিন লাকীর সঙ্গে ঝগড়ার এক পর্যায়ে সোহাইল তাকে মারধর করে। এতে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে লাকীর পরনের কাপড় দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং বিছানার চাদ মুড়িয়ে লাশ রান্নাঘরে রেখে পালিয়ে যায়। হত্যাকাণ্ড নাহিদা নিজে দেখলেও বাধা দেননি।

খুনের পর সোহাইল কিছুদিন নারায়নগঞ্জ, সাভার এবং গাজীপুরে আত্মগোপন করে থাকে। এরপর সে বাগেরহাটের মোংলা থানার মিঠাখালীতে দ্বিতীয় স্ত্রী নাসিমার বাসায় অবস্থান নেয়। সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পরিদর্শক আল মামুন জানিয়েছেন।

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

আশ্রয় খুন চতুর্থ দ্বিতীয় স্ত্রী

বিজ্ঞাপন

শেষ কবে এতটা নিচে ছিলেন কোহলি?
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৪৪

মুম্বাই যাচ্ছেন শাকিব খান
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৩৫

আরো

সম্পর্কিত খবর