ঢামেক থেকে নিখোঁজ রোগীর মৃতদেহ অজ্ঞাত ভেবে দাফন, পরে শনাক্ত
৩১ অক্টোবর ২০২১ ২৩:২০
ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ রোগী মো. মাইনুদ্দিনের (২৮) মৃতদেহ অজ্ঞাত ভেবে নারায়ণগঞ্জে দাফন করা হয়েছে। পরে ছবি দেখে স্বজনরা তার মৃতদেহ শনাক্ত করে। রোববার (৩১ অক্টোবর) রাতে মাইনুদ্দিনের মৃতদেহ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন তার বড় ভাই জামাল উদ্দিন।
জামাল উদ্দিন বলেন, ‘সকালে সংবাদ পাই নারায়ণগঞ্জে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়া গেছে। পরে নারায়ণগঞ্জ থানায় গিয়ে ছবি দেখে ভাইয়ের মৃতদেহ শনাক্ত করি। সেখানে গিয়ে জানতে পারি, থানা পুলিশ লাশ শনাক্ত করতে না পেরে মৃতদেহ দাফন করেছে।’
নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান জানান, গত শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) নারায়নগঞ্জ শহরের ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় সড়কের পাশে বঙ্গবন্ধু চত্বরে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়া যায়। পরে তার ময়নাতদন্ত শেষে পাঠানটুলী কবরস্থানে সিটি করপোরেশনের সহায়তায় বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়।
ওসি আরও জানান, পিবিআই মৃতদেহের ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত করে। পরে তার পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়।
মাইনুদ্দিনের বাড়ি ফেনী সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে। বাবার নাম রবিউল হক। মাইনুদ্দিনের বাম পা ও নিতম্ব ফুলে গেছে। ওষুধের ইনফেকশনের কারণে এমনটি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, অসুস্থতার কারণে গত ২৩ অক্টোবর তাকে ঢাকা মেডিকেলের নতুন ভবনের মেডিসিন বিভাগের ৬০১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিল মাইনুদ্দিন। ওয়ার্ডের ২৯ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। ২৬ অক্টোবর সকাল আট টার দিকে এক চিকিৎসক ভবনের ১০ তলায় নিয়ে যান তার কেস স্টাডির জন্য। ওই চিকিৎসক জানান, রোগীকে তারা ওয়ার্ডে পৌঁছে দেবেন।
বেলা ১২ পর্যন্ত রোগী ওয়ার্ডে না আসায় স্বজনরা ১০ তলায় খুঁজতে যায়। তখন ওই চিকিৎসককে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, রোগী সাত তলায় চলে গেছেন। তখন তারা আবার সাত তলায় যান। কিন্তু সেখানে গিয়েও রোগীর খোঁজ পাওয়া যায় না। পরে নিখোঁজের ঘটনায় সন্ধ্যায় শাহবাগ থানায় স্বজনরা ও মেডিকেল কতৃপক্ষ পৃথক দুটি জিডি করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবনের ওয়ার্ড মাস্টার মো. রিয়াজ বলেন, ‘জানতে পেরেছি ভর্তি এক রোগীকে ১০তলায় বোনমেরু বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কেস স্টাডির জন্য। এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দিনভর হাসপাতালের সবখানেই খোঁজাখুজি করা হয়েছে। তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।’
সারাবাংলা/এসএসআর/পিটিএম