সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে ঢাবি থিয়েটারের পরিবেশনা ‘শৈল্পিক’
১৯ অক্টোবর ২০২১ ১৮:১০ | আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২১ ১৯:৫২
দেশব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে ‘শৈল্পিক’ প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ‘দেখতে কি পাও, পুড়ছে বাংলা’ শীর্ষক একটি শৈল্পিক প্রতিবাদী নাট্য পরিবেশনা করেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির মানববন্ধনে যুক্ত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে প্রতিবাদী নাট্যটি পরিবেশন করেন শিক্ষার্থীরা।
‘গোল হয়ে আসুন সকলে, ঘন হয়ে আসুন সকলে’—এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে অনুষ্ঠিত পরিবেশনাটির মূখ্য তত্ত্বাবধায়ক তানভির নাহিদ খান বলেন, ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে জন্ম হয়েছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের। ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদ থেকে নয়। সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের ঐক্যবদ্ধ অংশগ্রহণে মহান মুক্তিযুদ্ধে মরণপণ লড়াই করে এই রাষ্ট্রের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল। সম্প্রতি দুর্গোৎসবে ঘটে যাওয়া ঘটনা এই বাংলার হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনকে হুমকির মুখে ফেলেছে। আমাদের অসাম্প্রদায়িক এই রাষ্ট্রকে সংকটাপন্ন করেছে।’
থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহমান মৈশান বলেন, ‘এদেশে একজন মুসলমান ঠিক যতটুকু বাঁচার অধিকার রাখে, একজন হিন্দুও ততটুকুই অধিকার রাখে। এই দেশ যেমন মুসলমানের, তেমনই হিন্দুর, তেমনই সাঁওতালেরও। বহু জাতি ও বহু ধর্মের বাংলাদেশকে বীভৎস সাম্প্রদায়িকতা ও বর্ণবাদ থেকে রক্ষার জন্য সবাই আওয়াজ তুলুন। আমরা এখনো আছি বহুজন একসাথেই। থাকবোই, লড়বোই, বাঁচবোই।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ইসরাফিল সাহিন, ড. সাইদুর রহমান লিপন, মোহাম্মদ আহসান খান ও নাভেদ রহমানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/আরআইআর/এএম