অটোভ্যান বিকল, ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল মা-ছেলের
১৭ অক্টোবর ২০২১ ২২:৫৯ | আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২১ ২৩:১০
সিরাজগঞ্জ: নলকা সেতু এলাকায় মহাসড়ক পার হওয়ার সময় বিকল হয়ে পড়ে একটি অটোভ্যান। দ্রুতগামী একটি ট্রাক সেটিকে চাপা দিলে অটোভ্যানের যাত্রী মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ছেলেটির বোনও এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।
এদিকে, ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে খালকুলা ৫ নম্বর সেতু এলাকায় যাত্রীবাহী একটি বাসের সঙ্গে ট্রাক্টরের সংঘর্ষে আরও একজন মারা গেছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও সাত জন।
রোববার (১৭ অক্টোবর) রাত পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কের নলকা মোড় এলাকায় এবং সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের খালকুলা ৫ নম্বর সেতু এলাকায় এই দুর্ঘটনা দু’টি ঘটে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল মজিদ ও হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল্লাহেল বাকী দুর্ঘটনাগুলোর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ট্রাক চাপায় নিহত দু’জন হলেন— সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার মাসিমপুর মহল্লার নাসির উদ্দিনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪৫) ও ছেলে নয়ন (২২)। আরেক দুর্ঘটনায় নিহতের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ।
বঙ্গবন্ধু পশ্চিম থানার এসআই মো. আব্দুল মজিদ জানান, রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের কামারখন্দ উপজেলার নলকা সেতু এলাকায় যাত্রী নিয়ে ব্যাটারিচালিত একটি অটোভ্যান রাস্তা পার হওয়ার সময় বিকল হয়ে পড়ে। এসময় দ্রুতগামী একটি ট্রাক অটোভ্যানটিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।
ট্রাকের চাপায় ঘটনাস্থলেই অটোভ্যানের যাত্রী মনোয়ারা বেগম ও তার ছেলে নয়নের মৃত্যু হয়। মনোয়ারা বেগমের মেয়ে ইসরাত জাহান আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ হতাহতের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার এসআই মো. আব্দুল্লাহেল বাকী জানান, ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের খালকুলা ৫ নম্বর সেতু এলাকায় ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী দেশ ট্রাভেলসের একটি বাসের সঙ্গে রাস্তা মেরামতের কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় ট্রাক্টরে থাকা এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই মারা যান। বাসের অন্তত সাত জন যাত্রী আহত হন।
আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তবে নিহতের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তার লাশ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে বলে জানান এসআই বাকী।
সারাবাংলা/টিআর