Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নম্বর কমিয়ে বার্ষিক ও টেস্ট পরীক্ষা হবে ৩ বিষয়ে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৩ অক্টোবর ২০২১ ২০:৩৫ | আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২১ ২৩:১৫

ঢাকা: সারাদেশের মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে এ বছর ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে নেওয়া হবে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নির্বাচনি তথা টেস্ট পরীক্ষাও দিতে হবে। তবে এসব শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হবে মাত্র তিনটি বিষয়ে, কমছে প্রতিটি বিষয়ের নম্বর। কমবে পরীক্ষার সময়ও।

মাধ্যমিক ‍ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) নির্দেশনা বলছে, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক ও টেস্ট পরীক্ষাগুলো দিতে হবে কেবল বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ গণিত বিষয়ে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মান হবে ৫০ নম্বর। প্রতিটি বিষয়ের পরীক্ষার সময় হবে দেড় ঘণ্টা।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৩ অক্টোবর) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুকের সই করা এক নির্দেশনায় এসব তথ্য জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর।

মাউশির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যেসব অধ্যায় থেকে বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ গণিতের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছিল, সেসব অধ্যায় এবং গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শ্রেণিকক্ষে যেসব অধ্যায়ের পাঠদান করা হয়েছিল, সেসব অধ্যায় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সিলেবাস হিসেবে বিবেচিত হবে।

নম্বর বণ্টনের বিষয়ে বলা হয়েছে, বাংলা ও ইংরেজিতে প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র মিলিয়ে একটি পরীক্ষা হবে। মোট নম্বর হবে ৫০। সমান নম্বরের পরীক্ষা হবে সাধারণ গণিতেও। বাংলায় লিখিত অংশে থাকবে ৩৫ নম্বর, বহুনির্বচনি বা এমসিকিউ অংশে থাকবে ১৫ নম্বর। ইংরেজিতে প্রথম পত্রে থাকবে ৩০ নম্বর, দ্বিতীয় পত্রে ২০ নম্বর। আর সাধারণ গণিতে বাংলার মতোই লিখিত অংশে ৩৫ ও এমসিকিউ অংশে ১৫ নম্বর থাকবে।

মাউশি বলছে, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বার্ষিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে চলমান সব বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের ওপর ৪০ নম্বর যোগ করতে হবে। সপ্তম থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর আরও ১০ নম্বর যোগ করতে হবে। আর ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সঙ্গে বৃক্ষরোপণ প্রকল্পে কর্মতৎপরতা যুক্ত করে এই ১০ নম্বর যোগ করতে হবে। সব মিলিয়ে এই ১০০ নম্বরের ওপর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে বার্ষিক পরীক্ষার ফল তৈরি করে শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রেসিভ রিপোর্ট দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

মাউশির নির্দেশনা বলছে, ২০২১ শিক্ষাবর্ষে এই পরীক্ষাগুলো ছাড়া অন্য কোনো পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। নির্দেশনায় অবশ্যই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বার্ষিক ও নির্বাচনী পরীক্ষাগুলো সুষ্ঠুভাবে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

প্রতীকী ছবি

সারাবাংলা/টিএস/টিআর

নির্বাচনি পরীক্ষা বার্ষিক পরীক্ষা মাউশি মাধ্যমিক বিদ্যালয়

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর