২৩ দিন পর পানির ওপরে ঝুলন্ত সেতু, নিষেধাজ্ঞা মানছেন না পর্যটক
১১ অক্টোবর ২০২১ ১৯:৪৫ | আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২১ ২৩:১৫
রাঙ্গামাটি: কাপ্তাই হ্রদের পানি কমায় আবারও ভেসে উঠল ‘সিম্বল অব রাঙ্গামাটি’ খ্যাত পর্যটন করপোরেশনের ঝুলন্ত সেতুটি। ভারি বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানির ঢলে হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেতুটি ডুবে যাওয়ার ২৩ দিন পর ভেসে উঠেছে। তবে সেতু ভেসে উঠলেও এখনও পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত করেনি কর্তৃপক্ষ। সেতুর পাটাতনসহ অন্যান্য মেরামত কাজশেষে উন্মুক্ত করার কথা জানিয়েছে পর্যটন করপোরেশন। কিন্তু পর্যটন করপোরেশনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই সেতুতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটকরা।
সোমবার (১১ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে ঝুলন্ত সেতুতে দেখা যায়, কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ডুবে থাকা সেতুটি ২৩ দিন পর হ্রদের পানি কমায় ভেসে উঠেছে। তবে সেতুতে চলাচলের নিষেধাজ্ঞার কথা শুনেও দূর-দুরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা পানি নেমে যাওয়ায় সেতুতে ছুটে আসছেন। সেতুকে ঘিরে আবারও প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে পর্যটন এলাকার ভাসমান ব্যবসায়ীদের মাঝে। সেতুর দু’পাশেই ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে বিভিন্ন ফল বিক্রয় করছেন মৌসুমি ফল বিক্রেতারা।
ঝিনাইদহ থেকে বেড়াতে আসা মো. ফয়সাল ইকবাল বলেন, ‘আমরা রাঙ্গামাটি আসার সময় পথেই শুনেছি, ঝুলন্ত সেতুটি পানিতে নিমজ্জিত। কিন্তু এসে শুনছি আজই (সোমবার) নাকি সেতুর পানি নেমে গেছে। তাই এখন নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে।’
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্র জানায়, বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদের পানির পরিমাণ ১০৫ এমএলএস (মিনস সি লেভেল)। তবে হ্রদে ১০৬ এমএলএস পানি থাকলেই ঝুলন্ত সেতুটি পানিতে ডুবে যায়।
রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া জানান, ঝুলন্ত সেতু থেকে পানি নেমে গেছে। সংস্কার কাজ শেষে দু’একদিন পরেই সেতুটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ১৯ সেপ্টেম্বর ভারি বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানির ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ডুবে যায় ‘সিম্বল অব রাঙ্গামাটি’ খ্যাত পর্যটন করপোরেশনের ঝুলন্ত সেতুটি। সেসময় নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সেতুর ওপর দিয়ে পর্যটক ও স্থানীয়দের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কর্তৃপক্ষ।
সারাবাংলা/এমও