তুরস্কে পানির নিচে জাদুঘর, দেখা যাবে যুদ্ধজাহাজ
৩ অক্টোবর ২০২১ ১৪:১১ | আপডেট: ৩ অক্টোবর ২০২১ ১৫:২৮
তুরস্কে পানির নিচে একটি জাদুঘর সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। দেশটির দারদানেলস প্রণালীর নিচে অবস্থিত জাদুঘরে ১৪টি যুদ্ধজাহাজের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। এই জাহাজগুলো প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অটোমান সাম্রাজ্য এবং মিত্র বাহিনীর যুদ্ধের নিদর্শন। খবর এনডিটিভি।
তুর্কি ফটোগ্রাফার সাভাস কারাকাস গতকাল শনিবার (২ আক্টোবর) জাদুঘরটি খোলার পর একটি যন্ত্রচালিত বোটে করে প্রথম সেখানে যান। তিনি বলেছিলেন, সেখানে গিয়ে তিনি যেন পুনরায় তার দাদার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পেরেছিলেন। তার দাদা ১৯১৫ সালে গ্যালিপোলি যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।
ইস্তাম্বুলে বসবাসকারী কারাকাস বলেন, ‘ওই যুদ্ধে তার দাদার হাত বিকৃত হয়ে গিয়েছিল এবং চামড়া পুড়ে গিয়েছিল। তাই দাদাকে সব সময় ভয় পেতাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু আমি যখন গ্যালিপোলিতে আসি এবং ডুব দেই। তখন জাহাজগুলোর ধ্বংসাবশেষের মরিচা পড়া ধাতু এবং ইস্পাত আমাকে আমার দাদার হাতের কথা মনে করিয়ে দেয় এবং যেন পানির নিচে আমি তার হাতটি ধরে আছি।’
ব্রিটিশ, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়ান এবং নিউজিল্যান্ডের সেনাবাহিনী কর্তৃক অটোমান ও মিত্রশক্তি জার্মানিকে আক্রমণ বন্ধের ১০৬ বছর পর এই গ্যালিপোলি হিস্টোরিক আন্ডারওয়াটার পার্কটি উন্মুক্ত করেছে তুরস্ক।
আটোমান সাম্রাজ্যের এই প্রতিরোধ যুদ্ধ আধুনিক তুরস্কের জন্য গর্বের বিষয়। ওই সময় তারা কৃষ্ণসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত এজিয়ান প্রণালী নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছিল, সেখানে রাশিয়ার নৌ সেনা প্রবেশ করেছিল।
আটোমান যোদ্ধাদের ওই প্রতিরোধ যুদ্ধে ব্রিটিশদের ১২০-মিটার এইচএমএস ম্যাজেস্টিক যুদ্ধজাহাজসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এটিই সেদুলবাবির উপকূলের ২৪ মিটার গভীরে শত্রু জাহাজকে ডুবিয়ে দেওয়ার প্রথম ঘটনা। এসব জাহাজের অনেক অংশই এখনো অক্ষত রয়েছে।
ইস্তাম্বুলের আরেক আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফার আলী এথেম কেসকিন বলেন, আমরা সৌভাগ্যবান প্রজন্ম। কারণ আমরা এখনো সেই স্মৃতিস্তম্ভগুলো দেখতে পারছি।
তিনি আরও বলেন, ‘যখন আমি ডাইভিং (পানির নিচে বিচরণ করা) শুরু করি, তখন আমি তাদের ডুবে যাওয়ার মুহূর্তটি অনুভব করলাম। আমি সেই আতঙ্ক অনুভব করলাম যা তারা ওই সময় ছেড়ে গিয়েছিলেন।’
সারাবাংলা/এনএস
গ্যালিপোলি হিস্টোরিক আন্ডারওয়াটার পার্ক তুরস্ক পানির নিচে জাদুঘর