পিবিআই প্রতিবেদনে নাসির ও তামিমার বিয়ে অবৈধ
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১১:৩২ | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১২:৩৫
ঢাকা: ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও কেবিন ক্রু তামিমা সুলতানা তাম্মির বিবাহকে অবৈধ ঘোষণা করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পিবিআই ও আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের আদালতে এই প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। অভিযুক্তরা হলেন- তামিমা সুলতানা, নাসির হোসাইন এবং নাসিরের শ্বাশুড়ি সুমি আক্তার।
পিবিআই প্রধান পুলিশের ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, নাসির ও তামিমার বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তামিমার আগের স্বামী রাকিব হাসানকে তালাক দেওয়ার কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। নাসিরকে বিয়ের আগে রাকিবকে তালাক দেননি তামিমা। তাই নাসির-তামিমার বিয়ে আইনত অবৈধ।
এর আগে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন নাসির ও তামিমা। জানা যায়, তামিমা এর আগেও বিয়ে করেছিলেন। তার আট বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। এর মধ্যেই তামিমার প্রথম স্বামী রাকিব হোসেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, তাকে তালাক না দিয়েই তামিমা বিয়ে করেছেন নাসিরকে। বিষয়টি নিয়ে রাকিবের সঙ্গে নাসিরের একটি ফোনালাপের রেকর্ডও অনলাইনে ভাইরাল হয়।
এর মধ্যে জানা যায়, তালাক না দিয়েই দ্বিতীয় বিয়ে করায় রাকিব থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেছেন। একই ধরনের আরও দুই ভুক্তভোগীকে নিয়ে রাকিব বিয়ে ও তালাক নিবন্ধন প্রক্রিয়ার ডিজিটালাইজেশনের জন্য আইনি নোটিশও পাঠান সংশ্লিষ্টদের। সবশেষ বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালতে তিনি নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেছেন। পরে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পিবিআই’কে দেন আদালত। যার প্রতিবেদন আজ (বৃহস্পতিবার) আদালতে জমা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-
- বিয়ের পিঁড়িতে নাসির হোসেন
- ক্রিকেটার নাসির দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা
- অন্যের বউকে বিয়ে করলেন ক্যান— নাসিরকে তামিমার প্রথম স্বামী
- বিয়ে-তালাকের ডিজিটাল নিবন্ধন চেয়ে তামিমার প্রথম স্বামীর নোটিশ
- সব ধরনের আইন মেনেই বিয়ে করেছি: নাসির-তামিমা
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তাম্মি পেশায় একজন কেবিন ক্রু। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্র-পত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে সম্পূর্ণ জানেন।
অভিযোগ আরও করা হয়ে, রাকিবের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক চলমান অবস্থাতেই তাম্মি নাসিরকে বিয়ে করেছেন; যা ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। তাম্মিকে প্রলুব্ধ করে নিজের কাছে নিয়ে গেছেন নাসির। তাম্মি ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার আট বছর বয়সী কন্যা মারাত্মভাবে মানসিক বিপর্যস্ত হয়েছেন। আসামিদের এমন কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে, যা তার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
দণ্ডবিধির ৪৯৭,৪৯৭,৫০০ এবং ৩৪ ধারায় মামলাটির আবেদন করা হয়েছে। মামলায় আগের বিয়ে গোপন থাকা অবস্থায় অন্যত্র বিয়ে, অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়া, ব্যভিচার ও মানহানির অভিযোগ আনা হয়েছে।
সারাবাংলা/ইউজে/এআই/এনএস