Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দেশে পৌঁছেছে ফাইজারের আরও ২৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১০:১১ | আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২০:৩৭

ফাইল ছবি

ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলছে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম। এই কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছে আরও ২৫ লাখ ডোজ ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন। কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের আওতায় আমেরিকার ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য থেকে জার্মানির মিউনিখ হয়ে এই ভ্যাকসিন দেশে এসে পৌঁছায়।

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) মালদ্বীপিয়ান এয়ারে ভোর ৫টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এ ভ্যাকসিন এসে পৌঁছায় বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞাপন

এদিন ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর, সিএমএসডি ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিল।

এর আগে কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে প্রথম দফায় এক লাখ ৬২০ ডোজ এবং দ্বিতীয় দফায় ১০ লাখ তিন হাজার ৮৬০ ডোজ ভ্যাকসিন দেশে এসেছে। নতুন আসা এ ২৫ লাখ ডোজসহ ফাইজারের মোট ৩৬ লাখ ৪ হাজার ৪৮০ ডোজ ভ্যাকসিন দেশে এলো।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্মা, মডার্নার ভ্যাকসিনসহ কেনা ও কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটিজের আওতায় দেশে মোট চার কোটি ৯৪ লাখ ২৯ হাজার ৯৪০ ডোজ ভ্যাকসিন এসেছে।

রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দেশের করোনা পরিস্থিতি ও ভ্যাকসিন কার্যক্রম নিয়ে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, নিজেদের কেনা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় সরকার করোনাভাইরাসের ২৪ কোটি ৩০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

তিনি বলেন, চীন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় ২৪ কোটি ৩০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিনপ্রাপ্তির নিশ্চয়তা রয়েছে। কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির আওতায় ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। এছাড়াও চীনের কাছ থেকে ৭ কোটি ডোজ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে ১০ কোটি ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন কেনার চুক্তি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে এ পর্যন্ত ৫ কোটি ৫২ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন এসেছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজের ২ কোটি ৪২ লাখ ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে ১ কোটি ৬০ লাখ ডোজসহ মোট ৪ কোটি ২ লাখ ডোজ মানুষকে দেওয়া হয়েছে। এখনো হাতে দেড় কোটি ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদনের উদ্যোগও চলমান। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস এ নিয়ে চীনের সঙ্গে কাজ করছে। আমি যতটুকু জানি, তাদের কাজকর্ম চলমান। তারা যেভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, আশা করি সেভাবেই তা বাস্তবায়ন করবে। আমাদের ভ্যাকসিনের কোনো ঘাটতি হবে না। ডিসেম্বরের মধ্যে নিজেদের কেনা ও কোভ্যাক্স সহায়তা মিলে যথেষ্ট পরিমাণ ভ্যাকসিন পাব।

সারাবাংলা/এসবি/এসএসএ

ফাইজার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর