Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

২৮ সেপ্টেম্বরের ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইনে অগ্রাধিকার পাবেন যারা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২১:১২ | আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০০:২০

ফাইল ছবি

ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ২৮ সেপ্টেম্বর দেশে ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন চালানো হবে। এদিন প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে ৭৫ লাখ ও নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আরও পাঁচ লাখসহ মোট ৮০ লাখ ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

২৮ সেপ্টেম্বর ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন কর্মসূচিতে ২৫ বছরের বেশি বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে যারা আগে নিবন্ধন করেও এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিতে পারেননি। এছাড়াও অগ্রাধিকার পাবেন, বয়োজ্যেষ্ঠরা— যাদের বয়স ৫০ বছরের বেশি। সেইসঙ্গে অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছেন নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী নাগরিকরা। দেশের যেসব এলাকায় দরিদ্র জনগোষ্ঠী ভ্যাকসিন কেন্দ্রে যেতে পারেন না এবং নিবন্ধন করেও এসএমএস’র অপেক্ষায় আছেন তাদেরও অগ্রাধিকার দিয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দেশের করোনা পরিস্থিতি ও ভ্যাকসিন কার্যক্রম নিয়ে ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত হয়ে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২৮ তারিখ সকাল থেকে শুরু হবে গণটিকা কর্মসূচি। টার্গেট পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। প্রয়োজনে একাধিক শিফটে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। আমরা এর আগে একবারে ৪৫ লাখ ভ্যাকসিন দিতে পেরেছি। সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এবার আমরা টার্গেট নিয়েছি এবং এটা আমরা বাড়াতে থাকব।’

তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পেইনে যারা যুক্ত থাকবেন, অবশ্যই এই লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য চেষ্টা করবেন। যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন ২৮ সেপ্টেম্বর, সেজন্য ক্যাম্পেইনটি আমরা শুরু করছি সেদিন থেকে। ইনশাল্লাহ আমাদের লক্ষ্য অর্জন হবে।’

বিজ্ঞাপন

জাহিদ মালেক বলেন, ‘ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে গ্রামগঞ্জ পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে যারা দূরে থাকেন, দরিদ্র জনগোষ্ঠী, যারা সবসময় ভ্যাকসিন নিতে আসতে পারেন না এবং বয়স্ক যারা— তাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন শুরু করছি।‘

তিনি বলেন, ‘যারা অনেকদিন হলো নিবন্ধন করেছেন, কিন্তু ভ্যাকসিন পাননি এবং অপেক্ষায় আছেন, তাদের অবশ্যই আমরা অগ্রাধিকার দেব। আপনারা জানেন, প্রথমদিকে নিবন্ধন একেবারে অনেক বেশি হয়ে গিয়েছিল। যে কারণে আমাদের একটি জট তৈরি হয়েছিল। কোনো কোনো দিন ২০ থেকে ২৫ লাখ লোকের নিবন্ধন হয়েছে। এখন আমাদের হাতে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন আছে, আর জট থাকবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘চার হাজার ৬০০টি ইউনিয়ন, এক হাজার ৫৪টি পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪৩৩টি ওয়ার্ডে স্থাপন করা টিকাকেন্দ্র থেকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ইউনিয়ন পর্যায়ে তিনটি, পৌরসভায় একটি এবং সিটি করপোরেশন এলাকার কেন্দ্রে তিনটি করে বুথ থাকবে। তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার জন্য এ টার্গেট নেওয়া হয়েছে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত পাঁচ কোটি ৫২ লাখ ভ্যাকসিন পাওয়া গেছে। তার মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে চার কোটি দুই লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।’

২৮ সেপ্টেম্বর ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি সফল করতে রাজনৈতিক নেতা, গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ মিডিয়া কর্মীদের নিকট বিশেষ সহযোগিতার অনুরোধ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরাসহ লাইন ডিরেক্টর ও গণমাধ্যমকর্মীরা।

সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম

টপ নিউজ ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর