১ জনকে হত্যা করেই ফাঁসলেন একাধিক নারী ধর্ষণকারী সাগর
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২০:০১ | আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০০:১১
ঢাকা: স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে কৌশলে ঘুরতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মো. সাগর মিজি (২৪) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সবশেষ গত ২১ সেপ্টেম্বর এক নারীকে (২৬) কক্সবাজারের আমারী রিসোর্টে নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সাগর।
র্যাব জানিয়েছে, কক্সবাজার থেকে পালিয়ে আসার চার দিন পর শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র্যাব-১০ তাকে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস স্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে ভিকটিমের একটিসহ তিনটি মোবাইল ও নগদ ১৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এদিন বিকেল পাঁচ টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) ডিআইজি মো. মাহফুজুর রহমান এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘একাধিক নারীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধ্য করেছেন সাগর মিজি। গ্রেফতার সাগর গত ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার কলাতলী এলাকার আমারী রিসোর্টের ১০৮ নম্বর রুম ভাড়া নেন। ভাড়া নেওয়ার পর হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানান, ২০ সেপ্টেম্বর তার স্ত্রী ঢাকা থেকে আসবেন। তখন তাকে অন্য একটি ডাবল রুম দিতে হবে। সেই মোতাবেক ২০ সেপ্টেম্বর সাগর তার স্ত্রীর পরিচয়ে এক নারীকে (২৬) আমারী রিসোর্টে নিয়ে এসে ৪০৮ নম্বর রুমে ওঠেন। পরবর্তীতে ২১ সেপ্টেম্বর ১০টার দিকে হোটেল কর্তৃপক্ষ ৪০৮ নম্বর কক্ষে কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ওই নারীর মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়।’
গ্রেফতার সাগরের দেওয়া তথ্য মতে, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে মৃত নারীকে স্ত্রী পরিচয়ে কক্সবাজারের আমারী রিসোর্টে নিয়ে যান। রিসোর্টের ওই কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করার এক পর্যায়ে সাগরের সঙ্গে ভিকটিমের ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় সাগর ভিকটিমের গলা চেপে ধরে দেওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা দিলে তিনি মেঝেতে পড়ে যান। পরে ভিকটিমের শ্বাসরোধ করে পাশে থাকা গ্লাস দিয়ে দুই-তিনবার মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন। এরপর সাগর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
সাগরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব -১০ এর অধিনায়ক জানান, সাগর ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করতো। তিনি বিভিন্ন এলাকায় একাধিক নারীকে মিথ্যা প্রেমের ফাঁদে ফেলে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধ্য করতেন। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিআইজি মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘সাগরের মোবাইল চেক করে এ পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ জন শিক্ষার্থীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কৌশলে ধর্ষণের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে এ পর্যন্ত হত্যা করেছেন একজনকেই।’
সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম