এনু ও রুপমের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:৩৯
ঢাকা: জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দুই মামলায় এনামুল হক এনু ও রুপম ভূঁইয়ার জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) পৃথক দুই আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. মেহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুন নেছা রত্না।
২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর দুই ভাই এনু-রুপনের বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব।
সেখান থেকে টাকা ও গয়না জব্দ করার পর ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কর্মচারী আবুল কালাম ও এনুর বন্ধু হারুন অর রশিদের বাসায় অভিযান চালানো হয়। ওই অভিযানে ৫ কোটি ৫ লাখ টাকা, ৮ কেজি স্বর্ণালঙ্কার ও ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করে র্যাব।
এরপর দুদক তাদের সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান শেষে একই বছরের ২৩ অক্টোবর ৩৫ কোটি টকা জ্ঞাত বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এই দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
এর মধ্যে এনামুল হক এনুর বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে- এনু ২১ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
অপরদিকে দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী বাদী হয়ে রুপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রুপন অসৎ উদ্দেশে অবৈধ পন্থায় নামে-বেনামে ১৪ কোটি ১২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
রাজীবের জামিন আবেদন খারিজ : অর্থপাচার মামলায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মহিউদ্দিন আহমেদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।
অভিযান চালিয়ে ২০১৯ সালের ১৯ অক্টোবর রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার ‘সুলতান’ খ্যাত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রাজীবের বিরুদ্ধে ২১ কোটি ৫৬ লাখ ৫২ হাজার ৩৬৪ টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে সিআইডি বাদী হয়ে ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় বিচারিক আদালতে জামিন না পেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন সাবেক কাউন্সিলর রাজীব।
সারাবাংলা/কেআইএফ/একে