ফি দিয়ে আরকাইভস থেকে তথ্য পাওয়ার বিধান রেখে বিল পাস
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৪:৩১ | আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৫:৫৭
ঢাকা: নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে জাতীয় আরকাইভস থেকে তথ্য চাইলে তা পাওয়ার বিধান রেখে সংসদে একটি বিল পাস হয়েছে। টাকার বিনিময়ে তথ্যের হার্ড কপির পাশাপাশি সফট কপিও পাওয়া যাবে। ১৯৮৩ সালের এ সংক্রান্ত অ্যধাদেশ বাতিল করে বিলটি পাস করা হয়। বিলে বলা হয়েছে, আর্কাইভসে রক্ষিত রেকর্ড চুরি, নষ্ট বা হ্যাক করলে তিন বছরের জেল ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। রেকর্ড পাচার করলে পাঁচ বছরের জেল এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে ‘বাংলাদেশ জাতীয় আরকাইভস বিল-২০২১’ পাস হয়। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বিলটি সংসদে প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে দেওয়া হয়। পরে কণ্ঠভোটে সেটি পাস হয়। এর আগে, বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনীগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
জাতীয় আরকাইভস পরিচালনার জন্য ১৯৮৩ সালের একটি অধ্যাদেশ রয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে সামরিক শাসন আমলে প্রণীত যেসব আইন বা অধ্যাদেশের এখনও প্রয়োজন রয়েছে, সেগুলোকে পরিমার্জন করে বাংলায় রূপান্তরের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেজন্য বিলটি আনা হয়েছে। বিলে গবেষক ও তথ্য সেবা গ্রহীতাদের অনলাইন ডিজিটাল সেবা দেওয়ার জন্য আরকাইভস ডিজিটাল সেবা বা তথ্য প্রযুক্তি সেবা দিতে নির্দেশনা রয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, জাতীয় আরকাইভস পরিচালনায় একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে। এখানে একজন মহাপরিচালক থাকবেন। অধ্যাদেশে এই মহাপরিচালক ছিলেন না। বিদ্যমান আইনে রেকর্ড বিনষ্ট করার যে বিধান ছিল খসড়া আইনে তা বাদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ফি দিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলে (গোপন কোন দলিল ছাড়া) সরবরাহ করার বিধান রাখা হয়েছে। খসড়া আইনে রেকর্ডের সফট কপি করার বিধান রাখা হয়েছে। আগের আইনে যা ছিল না।
বিলে বলা হয়েছে, সরকারি রেকর্ড আরকাইভসে রাখতে হলে তা ২৫ বছর বা তার বেশি পুরনো হতে হবে। ব্যক্তিগত রেকর্ডও আর্কাইভসে রাখা যাবে। ঐতিহাসিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, কিংবা সাংস্কৃতিক তাত্পর্য রয়েছে এমন ৩০ বছর বা তার বেশি পুরনো ব্যক্তিগত রেকর্ড আরকাইভসে সংরক্ষণ করা যাবে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম