পাঞ্জশিরে বেসামরিক লোকদের হত্যা করেছে তালেবান
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:২৬ | আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৯:৪১
আফগানিস্তানের পাঞ্জশির উপত্যকায় অন্তত ২০ জন বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করেছে তালেবান। সেখানে তালেবানের সঙ্গে বিরোধী যোদ্ধাদের মধ্যে তুমুল লড়াই হয়। ওই অঞ্চলের সঙ্গে সকল প্রকার যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ফলে সেখান থেকে খবর প্রকাশ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে ২০ জন নাগরিকদের হত্যার তথ্য বিবিসির হাতে রয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমটি।
বিবিসির হাতে আসা এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পাঞ্জশিরের একটি রাস্তার পাশে সামরিক পোশাক পরিহিত এক ব্যক্তিকে ঘিরে রেখেছে তালেবান যোদ্ধারা। এসময় গুলির শব্দ শোনা যায়, আর সঙ্গে সঙ্গে লোকটি মাটিতে পড়ে যায়।
নিহত ব্যক্তিটি সেনাবাহিনী বা মিলিশিয়ার সদস্য ছিল কি না তা নিশ্চিত করা যায়নি। তবে অঞ্চলটিতে সামরিক পোশাক পরার প্রচলন রয়েছে। ওই ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী জোর দিয়ে বলেছেন, নিহত ব্যক্তি বেসামরিক নাগরিক ছিলেন।
পাঞ্জশিরে অন্তত ২০ জন নাগরিকের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হতে পেরেছে বিবিসি। নিহতের মধ্যে আবদুল সামি নামে একজন দোকানদারও রয়েছেন, তার দুটি সন্তানও রয়েছে।
বিবিসির স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, তালেবান যোদ্ধারা পাঞ্জশির দখল করার সময় আবদুল সামি পালাননি। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি শুধু ছোট একটি দোকানের মালিক এবং যুদ্ধের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।’
কিন্তু তালেবান বিরোধী যোদ্ধাদের কাছে মোবাইল ফোনের সিম বিক্রি করার অপরাধে তাকে গ্রেফতার করা হয়। কয়েকদিন পর সামির মরদেহ তার বাড়ির পাশে ফেলে দেওয়া হয়। মরদেহ দেখা ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ আগস্ট যখন তালেবান যোদ্ধারা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে, তখনও পাঞ্জশির তাদের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে ছিল। এই উপত্যকাটি সব সময় প্রতিরোধের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। এর আগে বিরোধী কমান্ডার আহমদ শাহ মাসউদের নেতৃত্বে সোভিয়েত বাহিনী ও তালেবান যোদ্ধাদের প্রতিরোধ করেছিল। উঁচু উঁচু পাহাড়ের কারণে দুর্গম অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়া কঠিন।
গত মাসে দ্বিতীয়বার কাবুলের পতন হলে মাসউদের ছেলে আহমদ আবারও নিজ উপত্যকায় তালেবানকে প্রতিহত করার ডাক দেন। তালেবান যোদ্ধারাও পুরো অঞ্চল ঘেরাও করে ফেলে। পরে গত সপ্তাহে পাঞ্জশিরে নিজেদের বিজয় ঘোষণা করে তালেবান।
সারাবাংলা/এনএস