স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়িচালক মালেকের রায় ২০ সেপ্টেম্বর
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৬:০৬ | আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২০:১৯
ঢাকা: স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়িচালক আব্দুল মালেকের (৬৩) বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলায় রায় ঘোষণার তারিখ আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মামলাটির যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালত রায় ঘোষণার এ দিন ঠিক করেন।
এদিন রাষ্ট্রপক্ষে আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মাদ সালাহউদ্দিন হাওলাদার ও আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট শাহিদুর রহমান যুক্তিতর্ক উপস্থাপনা শেষ করেন।
গত ৯ সেপ্টেম্বর আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান আব্দুল মালেকে। চার্জশিটের ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেন ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে, চলতি বছর ১১ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১-এ কর্মরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান চৌধুরী আদালতে এ আসামির বিরুদ্ধে এ মামলায় চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর একই আদালত চলতি বছর ১১ মার্চ এ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন।
চার্জশিটে শিবলু নামে আরেক আসামির প্রকৃত নাম-ঠিকানা উদঘাটনসহ গ্রেফতার করতে না পারায় অব্যাহতির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরবর্তীতে নাম-ঠিকানা পেলে তার বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দাখিলের কথা জানানো হয়েছে চার্জশিটে।
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১ টি ম্যাগাজিন, ৫ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ টাকার বাংলাদেশি জাল নোট, ১ টি ল্যাপটপ ও মোবাইল জব্দ করা হয়।
রাজধানীর তুরাগ এলাকায় আব্দুল মালেক ওরফে ড্রাইভার মালেক অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা, জাল টাকার ব্যবসা, চাঁদাবজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। ওই এলাকায় তিনি সাধারণ মানুষকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে শক্তির মহড়া ও দাপট প্রদর্শনের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছেন। এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর অভিযান চালিয়ে তুরাগে কামারপাড়া বামন টেক এলাকার ৪২ নম্বর হাজী কমপ্লেক্স ভবনের ৭ তলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মালেক পেশায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিবহন পুলের একজন চালক এবং তৃতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা। তিনি ১৯৮২ সালে সাভার স্বাস্থ্য প্রকল্পে চালক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিবহন পুলে চালক হিসেবে চাকরি শুরু করেন। তিনি প্রেষণে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অধিদফতরে কর্মরত ছিলেন।
সারাবাংলা/এআই/একে