গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ও সংক্রমণ দুটোই বেড়েছে
৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:০০ | আপডেট: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২৩:২৩
ঢাকা: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও সংক্রমণের সংখ্যা দুটোই বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো মোট ২৬ হাজার ৭৯৪ জন। এ ছাড়া একই সময়ে ২ হাজার ৫৮৮ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট ১৫ লাখ ২৪ হাজার ৮৯০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
এর আগে বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) দেশে করোনায় ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ওইদিন সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৪৯৭ জন।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, নমুনা পরীক্ষার জন্য সারাদেশে ল্যাবরেটরির সংখ্যা ছিল ৮০০ জন। এরমধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৪০টি, জিন এক্সপার্ট ল্যাব ৫৫টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাব ৬০৫টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয় ২৯ হাজার ৪৯৫টি। নতুন ও পুরনো নমুনা নিলে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ হাজার ৫৪১টি। এ পর্যন্ত দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৯১ লাখ ৭৫ হাজার ৯১২টি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৬১৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ২১১ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, নমুনা পরীক্ষার জন্য সারাদেশে ল্যাবরেটরির সংখ্যা ছিল ৮০০ জন। এরমধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৪০টি, জিন এক্সপার্ট ল্যাব ৫৫টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাব ৬০৫টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয় ২৯ হাজার ৪৯৫টি। নতুন ও পুরনো নমুনা নিলে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ হাজার ৫৪১টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৯১ লাখ ৭৫ হাজার ৯১২টি।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৬১৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ২১১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহের বিপরীতে শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত গড় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬২ শতাংশ। করোনায় আক্রান্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ২৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৩৫ জন, মহিলা ২৩ জন। এ পর্যন্ত দেশে পুরুষ রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা ১৭ হাজার ২৯৪ জন, মহিলা রোগী মারা গেছেন ৯ হাজার ৫০০ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ রোগী মৃত্যুর হার ৬৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ, নারী মৃত্যুর হার ৩৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী মারা গেছেন ২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী মারা গেছেন ৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী মারা গেছেন ১৬ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী মারা গেছেন ১৬ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী মারা গেছেন ৭ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী মারা গেছেন ছয়জন, ৯১ থেকে ১০০ বছর বয়সী মারা গেছেন একজন। এ পর্যন্ত দেশে ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী মারা গেছেন ৮ হাজার ৩৪০ জন, যা সর্বোচ্চ। ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী মারা গেছেন ৬ হাজার ৩০৯ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়— ঢাকা বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে মারা গেছেন ১৯ জন, রাজশাহী বিভাগে তিনজন, খুলনা বিভাগে ৫ জন, বরিশালে দুইজন, সিলেট বিভাগে ৮ জন, রংপুর বিভাগে ১ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৫০ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৮ জন মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেনটাইনে গেছেন ১ হাজার ৯০০ জন, কোয়ারেনটাইন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৩ হাজার ১২২ জন। এ ছাড়া আইসোলেশনে গেছেন ৬৫২ জন। আইসোলেশন থেকে ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন ১ হাজার ৪৫৪ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, একদিনে দেশের অভ্যন্তরে স্ক্রিনিংয়ের আওতায় এসেছেন ৬ হাজার ১২ জন। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে স্ক্রিনিংয়ের আওতায় এসেছেন ৫ হাজার ৩৪৮ জন, স্থলবন্দরে স্ক্রিনিংয়ের আওতায় এসেছেন ৩৮১ জন, সমুদ্রবন্দরে স্ক্রিনিংয়ের আওতায় এসেছেন ২৮৩ জন।
সারাবাংলা/একে