সশরীরে পাঠদানে প্রস্তুত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়
৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২৩:৩২ | আপডেট: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২৩:৩৫
ঢাকা: আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এদিকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উভয় পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সব প্রস্তুতি নেওয়া আছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, গত ১১ আগস্ট বিধিনিষেধ শিথিল করার পর থেকেই সশরীরে পাঠদানের উদ্দেশ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নিতে থাকে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সব নির্দেশনা মেনে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসরণ করে তারা প্রস্তুতি নিয়েছেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, ‘বিদ্যালয় খুলে দিতে আমাদের সব প্রস্তুতি নেওয়া আছে। প্রতিটি বিদ্যালয় ক্লাস শুরু করার আগে যা যা করণীয় সে বিষয়গুলো মাথায় রেখে কাজ করার জন্য আগেই জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং শিক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিলো। কাজেই আমরা আশা করি বিদ্যালয় খুলে দিলে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না।’
বিদ্যালয় খুলে দিতে প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের শিক্ষকদের প্রায় শতভাগ ভ্যাকসিনেট করা হয়ে গেছে। অল্প কিছু যা বাকি রয়েছে সে কার্যক্রম চলমান দ্রুতই শেষ হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি আমাদের নেওয়া আছে।’ এ নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর কাজ করছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
নভেম্বরের মাঝামাঝি এসএসসি, ডিসেম্বরে এইচএসসি: শিক্ষামন্ত্রী
এর আগে নিজ নির্বাচনি এলাকা চাঁদপুর সদর উপজেলার মহামায়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার বিষয়ে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘স্কুল-কলেজ খোলার জন্য আমরা আগেই প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী ১২ সেপ্টেম্বর আমরা দিন নির্ধারণ করেছি।’
এদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর বৈঠকে বসবে এ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি। সংশ্লিষ্টরা জানান, ভার্চুয়াল ওই বৈঠকে করোনাভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর শিশুদের স্বাস্থ্যবিধি কি প্রক্রিয়ায় নিশ্চিত করা যেতে পারে, এসব আলোচনা গুরুত্ব পাবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো কী ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে সেসব বিষয় নিজ নিজ স্থান থেকে কর্মকর্তারা তুলে ধরবেন বৈঠকে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের উপস্থিতি প্রথম শনাক্ত হয়। এর পর ১৭ মার্চ থেকে সকল পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা কমে এলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করে সরকার। কিন্তু এরমধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় সে পরিকল্পনা থেকে সরে আসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দফায় দফায় বাড়ানো হয় ছুটির মেয়াদ। সবশেষ ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
সারাবাংলা/জেআর/এমও
টপ নিউজ পাঠদান প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষামন্ত্রী সশরীরে পাঠদান