কুড়িগ্রামে পানিবন্দি ৫০ হাজার মানুষ
৩১ আগস্ট ২০২১ ২১:৩৩
কুড়িগ্রাম: কয়েকদিন ধরে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছে চর, দ্বীপচরসহ নদ-নদী অববাহিকার নীচু এলাকার অন্তত ৫০ হাজার পানিবন্দি মানুষ। এসব এলাকার কাঁচা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
এদিকে চলমান বন্যায় জেলায় প্রায় ১৬ হাজার ৪০৭ হেক্টর জমির রোপা আমান ও ২৭০ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত, ১০০ হেক্টর জমির বীজতলা দীর্ঘদিন পানিতে তলিয়ে থাকায় বেশিরভাগ ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) জেলার সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের গারুহারা গ্রামের জমিলা বেগম জানান, প্রায় ১০ দিন ধরে আমার বাড়ির চারিদিকে পানিতে তলিয়ে গেছে। নৌকা ছাড়া বাইরে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। ঠিকমত বাজার-সদাই করতে পারছি না। শ্যালো মেশিনে সেচ দিয়ে আমন লাগিয়েছি, সে আমনও পানির নীচে থেকে নষ্ট হয়ে গেছে।
সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী সরকার জানান, আমার ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকায় প্রায় ৩০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। প্রশাসন থেকে ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে যা বিতরণ প্রক্রিয়া চলছে।
উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন জানান, আমার ইউনিয়নের প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি। ঘরের ভিতর পানি না উঠলেও চারিদিক তলিয়ে আছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেলে বাড়িঘরে ভিতরে পানি ঢুকে পড়বে।
জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশরী মো. আরিফুল ইসলাম জানায়, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলার পানি কিছুটা কমলেও ব্রহ্মপুত্রের পানি আরও বাড়তে পারে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, বন্যাকবলিতদের জন্য ২৮০ মেট্রিক টন চাল ও সাড়ে ১১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/এনএস