Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢেপা, পুনর্ভবা ও টাঙ্গন নদীর তীর সংরক্ষণের উদ্যোগ

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৩১ আগস্ট ২০২১ ০৮:১০ | আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০২১ ০৮:২৫

ঢাকা: দিনাজপুরে নদী তীরবর্তী রাস্তাঘাট, কৃষি জমি, ঘরবাড়ি, বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এজন্য জেলার ঢেপা, পুনর্ভবা ও টাঙ্গন নদীর তীর সংরক্ষণে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

‘ঢেপা, পুনর্ভবা ও টাঙ্গন নদীর তীর সংরক্ষণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিরল উপজেলার ১০ স্থানে ৭.৯৫ কিলোমিটার ও বোচারগঞ্জ উপজেলার তিনটি স্থানে ২.৯৫ কিলোমিটার নদী ভাঙন রোধ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে ৯০০ হেক্টর ফসলি জমি। এমনটাই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিজ্ঞাপন

এই প্রকল্পের বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সারাবাংলাকে বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে জেলার ১৩টি স্থানে ঘরবাড়ি, সরকারি-বেসরকারি অবকাঠামো, কৃষি-অকৃষি জমি, বনজ সম্পদ, ফসলাদি ও মসজিদ-মন্দিরসহ জানমাল রক্ষা করা সম্ভব হবে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশ প্রতিপালন করায় প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে সম্প্রতি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ঢেপা নদীটি জেলার সদর, বীরগঞ্জ ও কাহারোল উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে রাজাপাড়া ঘাট নামক স্থানে পুনর্ভবা নদী নাম ধারণ করে ভারতে প্রবেশ করেছে। টাঙ্গন নদীটি পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার নিম্নাঞ্চল থেকে উৎপত্তি হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর, পীরগঞ্জ ও বোচাগঞ্জ উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে। নদীগুলোর আকৃতিগত পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন স্থানে চর জেগে প্রবাহ পথ পরিবর্তিত হচ্ছে। এছাড়া তীব্র স্রোত ও প্রবল পানি প্রবাহের প্রভাবে নদী তীর ভাঙনের সম্মুখীন হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেজে/এএম

টাঙ্গন নদী ঢেপা পুনর্ভবা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর