জিয়ার মরদেহ এরশাদ নিজে বহন করেছেন: মির্জা ফখরুল
২৮ আগস্ট ২০২১ ১৭:১৪ | আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২১ ২০:২২
ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘লাখ লাখ লোক জিয়াউর রহমানের জানাজায় শরিক হয়েছে। তৎকালীন সেনা প্রধান এইচ এম এরশাদ নিজে জিয়াউর রহমানের মরদেহ বহন করেছেন। ইট ইজ এ ওপেন ক্লিয়ার, ক্লিস্টাল ক্লিয়ার- এর চেয়ে বড় সত্য আর হতে পারে না।
শনিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জনদৃষ্টি ভিন্নখাতে সরাতেই সরকার চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে প্রশ্ন তুলছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই ধরনের ইস্যু নিয়ে আসাই প্রমাণ করে তারা (সরকার) কতটা রাজনীতি শূন্য হয়ে গেছে, দেউলিয়া হয়ে গেছে। আপনাদেরকে (সাংবাদিক) দিয়ে আমাদের কাছে প্রশ্ন করিয়ে সেই কথাগুলোকে আবার সামনে নিয়ে এসে মানুষের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটা প্রচেষ্টা মাত্র।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মূল জায়গাটায় আসে না কেন তারা? নির্বাচনটা কীভাবে করবেন, গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে কীভাবে শক্তিশালী করবেন, কীভাবে মানুষের অধিকারগুলো, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেবেন, সেই কথাগুলোর উত্তর তারা (সরকার) দেয় না।’
চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের কবর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান তো এদেশের মানুষের হৃদয়ের মধ্যে আছেন, মনের মধ্যে আছেন। আপনারা যদি কখনো শবে বরাতের রাতে মাজারে (চন্দ্রিমা উদ্যান) যান দেখবেন যে, সাধারণ মানুষরা এসে তার মাজার জিয়ারত করছে। অযথা উনাকে (জিয়াউর রহমান) নিয়ে টানা, শেখ মুজিবুর রহমানকে টানা– এগুলো আমরা করতে চাই না। উনারা আমাদের সকলের শ্রদ্বেয় নেতা। তাদের সেই জায়গাতেই রাখা উচিত।’
মির্জা ফখরুল জানান, শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যকে ‘রুচিহীন’ মিথ্যাচার অভিহিত করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য কখন কী দেন, কীভাবে দেন, কেন দেন- এটা এখন পর্যন্ত ঠিক আমাদের কাছে বোধগম্য হয়নি।গতকালকে যেসব বক্তব্য দিয়েছেন- এটা কোনো রুচিবান মানুষ করতে পারে না বলে আমি মনে করি। এটা আমার কাছে মনে হয়েছে যে, রুচিহীন, কদর্য, মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছু নয়। এধরনের বক্তব্য মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে।’’
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ইউনিসেফের প্রকাশিত প্রতিবেদনে কোভিড-১৯ এর কারণে সকল স্তরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থা করছে। দীর্ঘকাল বন্ধের ফলে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত চার কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ইতিপূর্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের টিকা প্রদান করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। গতকাল স্থায়ী কমিটির বৈঠকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।’
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পর সরকার বিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘উনার (ওবায়দুল কাদের) কথা বোঝা যায়, এতোদিন করোনার কারণে নয়, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কারণে নয়, আন্দোলন ঠেকানোর জন্য তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রেখেছেন।’
সারাবাংলা/এজেড/এএম
চন্দ্রিমা উদ্যান জিয়াউর রহমান জিয়ার লাশ টপ নিউজ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর