Saturday 04 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রবাল দ্বীপে নতুন ৩ প্রজাতির মাছের সন্ধান

শাহেদ মাহমুদ, শেকৃবি প্রতিনিধি
২৮ আগস্ট ২০২১ ১৭:১২ | আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০২১ ১১:৪৬

ঢাকা: সম্প্রতি দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে পাওয়া গেছে নতুন তিন প্রজাতির মাছ। সমুদ্র জলসীমায় থাকা মাছের তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে এই নতুন প্রজাতিগুলো। বাংলাদেশের সমুদ্র জলসীমায় মাছের প্রজাতি ও সংরক্ষণ পরিস্থিতি নিয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলের করা এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণা প্রতিবেদনটি গত ২৩ আগস্ট আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী জার্নাল অব ইকথায়লোজিতে (Journal of Ichthyology) প্রকাশ হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সমুদ্রপৃষ্ঠের তিন থেকে চার মিটার গভীরে থাকা ‘দুইধা’, ‘দাগী দুইধা’ ও ‘দুই দাগী দুইধা’ নামের মাছগুলোর জীববৈচিত্র্য নিরূপনে ব্যবহার করা হয়েছে ডিএনএ বারকোডিং পদ্ধতি। তারপর আন্তর্জাতিক জিন ব্যাংকের তথ্যের সঙ্গে তুলনা করে শনাক্ত করা হয় নতুন প্রজাতিগুলো।

গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিকস বিভাগের অধ্যাপক কাজী আহসান হাবীব। সহকারী হিসেবে ছিলেন গবেষক জায়িদুল ইসলাম, নাজমুন নাহার, অমিত কুমার নিয়োগী। আর গবেষণায় সহযোগিতা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক টি এইচ ফ্রেশার।

গবেষক অধ্যাপক কাজী আহসান হাবীব সারাবাংলাকে বলেন, ‘মাছ তিনটি পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় জলসীমায় পাওয়া গেলেও এই প্রথম উত্তর বঙ্গোপসাগরে এর উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেছে। সাধারণত প্রবাল প্রাচীরে মাছগুলো বাস করে। তাই দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সংলগ্ন জলসীমায় মাছগুলো পাওয়া যায়।’

তিনি বলেন, “এই প্রজাতিগুলোর মধ্যে ‘দুইধা মাছ’ মাছের চোখ বড় এবং পাখনা স্বচ্ছ ও হালকা গোলাপি রঙের হয়। শরীরজুড়ে রয়েছে চারটি কালো রেখা, যার নিচের দুটি রেখা প্রশস্ত এবং ওপরের দুটি পাতলা।”

তিনি জানান, সন্ধান পাওয়া নতুন প্রজাতির আরেকটি ‘দুই দাগী দুইধা’ প্রজাতির মাছগুলো হালকা বাদামি থেকে কালো-বাদামি রঙের হয়। এর শরীরে লম্বা দাগ বা ডোরা প্রায় কালো থাকে। সাধারণত এদের গালে একটি রেখা এবং শরীরে দুটি দাগ থাকে। এ ছাড়াও ‘দাগী দুইধা’ নামের মাছটির পায়ু পাখনা এবং দ্বিতীয় পৃষ্ঠীয় পাখনার ওপর একটি অস্পষ্ট কালো দাগ লক্ষ্য করা যায়। এর শরীর অপেক্ষাকৃত গভীর এবং মাথা অবতল আকৃতির।

বিজ্ঞাপন

গবেষক দলের প্রধান জানান, সনাতন পদ্ধতিতে গবেষকেরা মাছের গঠন ও বাহ্যিক আকৃতি দেখে নাম ও প্রজাতি শনাক্ত করেন। কিন্তু জীবনচক্র পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যে ভিন্নতা তৈরির কারণে এ পদ্ধতিতে মাছ শনাক্ত করা বেশ জটিল। তাই মাছের জীববৈচিত্র্য নিরূপণে ডিএনএ বারকোডিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এরপর আন্তর্জাতিক জিন ব্যাংকের তথ্যের সঙ্গে তুলনা করে নতুন প্রজাতি শনাক্ত করা হয়েছে।

সারাবাংলা/পিটিএম

টপ নিউজ নতুন প্রজাতি মাছ প্রবাল দ্বীপ