Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফের জেলের জালে দেড় মণ ওজনের পাখি মাছ

লোকাল করেসপন্ডেন্ট
২৭ আগস্ট ২০২১ ১৮:২০ | আপডেট: ২৭ আগস্ট ২০২১ ২০:০০

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী): মাছের নাম সেইল ফিশ। পিঠের পাখনা দিয়ে দ্রুতবেগে চলাচল করে থাকে পানির মধ্যে, ঠিক যেমন আকাশে উড়ে বেড়ায় পাখি। স্থানীয়দের কাছে তাই এটি পাখি মাছ নামেই পরিচিত। জেলেদের জালে এই মাছ ধরা পড়তে দেখা যায় কদাচিৎ। কিন্তু হঠাৎ করেই যেন মহিপুরে এই মাছের হিড়িক পড়েছে!

বুধবার (২৫ আগস্ট) দিবাগত রাতের পর বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দিবাগত রাতেও জালে ধরা দিয়েছে এই পাখি মাছ। আগের দিনের মতোই এগুলো বিশালাকৃতির— দেড় মণ পর্যন্ত রয়েছে একেকটির ওজন।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কুয়াকাটা সংলগ্ন গভীর বঙ্গোপসাগরে কালাম উল্লাহ নামের এক মাঝির জালে পাঁচটি ও সোবাহান নামের আরেক মাঝির জালে দুইটি মাছ ধরা পড়ে। সাতটি মাছের মধ্যে সবচেয়ে বড় তিনটির একেকটির ওজন দেড় মণ বা ৬০ কেজি করে! বাকিগুলোর মধ্যে তিনটির ওজন ৩১ কেজি করে। বাকি একটি মাছের ওজনও একমণের বেশি— ৪৫ কেজি। সব মিলিয়ে সাতটি মাছের ওজন আট মণ!

আরও পড়ুন- জেলের জালে ৮টি পাখি মাছ, ওজন এক থেকে দেড় মণ!

বৃহস্পতিবার দুপুরে মাছগুলো মৎস্য বন্দর মহিপুরের এম কে ফিস আড়তে বিক্রির জন্য নিয়ে যান মাঝি কালাম উল্লাহ। এসময় মাছগুলো একনজর দেখতে ভীড় জমান স্থানীয়রা।

কালাম উল্লাহ ও সোবাহান জানান, দ্রুতগামী এই পাখি মাছ এর আগে কখনো তাদের জালে ধরা পড়েনি। মাছের ওজন বেশি হওয়া ঘাটে নিয়ে আসতে তাদের অনেক কষ্টও হয়েছে। স্থানীয় বাজারে চাহিদা কম থাকায় আট মণ ওজনের মাছ সাতটি বিক্রি হয়েছে মাত্র পাঁচ হাজার টাকায়। কিনেছেন মাছ ব্যাবসায়ী জাহাঙ্গীর। মহিপুরের মৎস আড়তদার নজীর আহম্মাদ জানান, মাছগুলো সাতক্ষীরা ও ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, এটি মূলত সেইল ফিশ। স্থানীয়রা একে পাখি মাছ নামে ডাকেন। মাছগুলো খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। স্থানীয় বাজারে না হলেও দেশের বিভিন্ন স্থানে ও দেশের বাইরে এই মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, বুধবার দিবাগত রাতে নুরুন্নবী মাঝি নামের একজন জেলের জালে আটটি পাখি মাছ ধরা পড়েছিল। এর মধ্যে তিনটির ওজন ছিল দেড় মণ করে। বাকি পাঁচটির মধ্যে চারটির ওজন ৫৫ কেজি করে ও বাকি একটির ওজন ছিল ৪০ কেজি।

সারাবাংলা/টিআর

পাখি মাছ সেইল ফিশ