Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কাবুল বিস্ফোরণ: প্রতিশোধ চান বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৭ আগস্ট ২০২১ ১২:৩৭ | আপডেট: ২৭ আগস্ট ২০২১ ১৬:২২

কাবুল বিমানবন্দরে ইসলামিক স্টেট খোরাসানের (আইএসআইএস-কে) জোড়া বিস্ফোরণের পর মার্কিন সেনাবাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১৪০ জন। মৃতদের মধ্যে ১৩ মার্কিন সেনাও রয়েছে।

ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই জরুরি বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৈঠকের পর হোয়াইট হাউজ থেকে এক টেলিভিশন বিবৃতিতে তিনি জানান, যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের কোনো ছাড় নেই। জঙ্গিদের সমূলে নির্মূল করতে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, বিস্ফোরণের রাতেই দায় স্বীকার করেছে আইএসআইএস-খোরাসান। সম্প্রতি এই হামলার ব্যাপারে সতর্ক করেছিল মার্কিন-ব্রিটিশ-অস্ট্রেলিয়ান সেনাবাহিনী।

আফগানিস্তানে অবস্থানরত নিজ দেশের নাগরিকদের হুঁশিয়ার করে তারা জানিয়েছিল, কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে আইএসআইএস-কে অস্ত্র নিয়ে তৈরি হচ্ছে। যে কোনো সময় তারা আক্রমণ চালাতে পারে। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সে কথাই সত্য হলো। দুই আত্মঘাতী জঙ্গি কাবুল বিমানবন্দরের মূল ফটকে এবং বিমানবন্দর থেকে সামান্য দূরে বিস্ফোরণ ঘটায়। একইসঙ্গে গোলাগুলির শব্দও পাওয়া যায়।

ওই হামলায় মার্কিন সেনা ছাড়াও বহু আফগান নাগরিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। ২৮ তালেবান রক্ষীর মৃত্যু হয়েছে বলে সংগঠনটির মুখপাত্র দাবি করেছেন।

এ ব্যাপারে বাইডেন বলছেন, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে লড়বে মার্কিন সেনারা। চরম জবাব দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উদ্ধার তৎপরতা বন্ধ করা যাবে না। যে গতিতে উদ্ধারকাজ চলছে, তা জারি রাখা হবে।

একইসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, এই হামলায় তালেবানের হাত নেই। অর্থাৎ, আইএসআইএস-খোরাসানের সঙ্গে তালেবান হাত মেলায়নি। বরং তারা পরস্পরবিরোধী আদর্শের।

বিজ্ঞাপন

বাইডেন জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত প্রায় এক লাখ মানুষকে আফগানিস্তান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে বিদেশি সংস্থায় কাজ করা বহু আফগানও আছেন। আর এক হাজার মার্কিন নাগরিক এখনো আফগানিস্তানে আটকে আছেন বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। ৩১ আগস্টের মধ্যই তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তারপর কোনো ভাবেই মার্কিন সেনা আফগানিস্তানে থাকবেন না বলে এদিন ফের জানিয়েছেন বাইডেন।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারের ঘটনার নিন্দায় গোটা বিশ্ব। ঘটনার পরে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যের সেনার কোনো ক্ষতি হয়নি। অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ঘটনার নিন্দা করেছেন। তবে দুইজনেই জানিয়েছেন, তাদের দেশের নাগরিকদের আগেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল। তাই বিস্ফোরণে তাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কানাডাও একই কথা জানিয়েছে।

সারাবাংলা/একেএম

আইএসআইএস-কে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ কাবুল বিমানবন্দর টপ নিউজ মার্কিন সেনা প্রত্যাহার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর