টাঙ্গুয়ার হাওরে প্রবেশে মানতে হবে ১০ শর্ত
২৫ আগস্ট ২০২১ ১৭:৪৮ | আপডেট: ২৫ আগস্ট ২০২১ ১৯:৩২
সুনামগঞ্জ: তাহিরপুর উপজেলায় অবস্থিত টাঙ্গুয়ার হাওর, টেকেরঘাট, বারেকাটিলা, নীলাদ্রিসহ পর্যটন এলাকায় জনসমাগমের ওপর ১০টি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। বুধবার (২৫ আগস্ট) থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবির।
নির্দেশনাগুলো হলো- হাওর কিংবা নদীতে যাত্রা শুরুর অন্তত ছয় ঘণ্টা আগে নির্ধারিত ফরমে তাহিরপুর থানা ও উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নৌযানের নাম, পর্যটকের সংখ্যা, যাত্রা ও ফেরার সময় উল্লেখসহ লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে। টাঙ্গুয়ার হাওরে চলাচলকারী কোনো নৌযান অতিরিক্ত পর্যটক বা যাত্রী বহন করতে পারবেন না। ভ্রমণের সময় নৌযানের চালক ও পর্যটকদের অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট পরতে হবে। বিশেষ করে হাওরে কিংবা নদীতে কোনো পর্যটক লাইফ জ্যাকেট ছাড়া নামতে পারবেন না। বিরূপ আবহাওয়া থাকলে হাওর কিংবা নদীতে ভ্রমণ করা যাবে না। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ভ্রমণের সময় সবাইকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। প্রতিটি নৌযানে ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য ডাস্টবিন স্থাপন করতে হবে। নির্ধারিত স্থান ছাড়া হাওর বা নদীর কোথাও ময়লা-আবর্জনা ফেলা যাবে না। পর্যটকবাহী নৌযানে উচ্চস্বরে মাইক বা লাউড স্পিকার ব্যবহার করা যাবে না। প্রতিটি নৌযানে পর্যটকদের জন্য মানসম্মত পরিবেশ, পরিচ্ছন্নতা ও অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। ভ্রমণকালে পর্যটকরা তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করবেন এবং নিজেদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে সচেষ্ট থাকবেন।
বিধিনিষেধ শেষে গত ১৯ আগস্ট থেকে সুনামগঞ্জের সকল পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়। এরপর থেকে টাঙ্গুয়ার হাওর, নীলাদ্রি, টেকেরঘাট, বারেকাটিলাসহ পর্যটন এলাকায় হাজারও পর্যটকের জনসমাগম হয়। কিন্তু দেখা যায়, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে হাওরে প্রবেশ, ছোট নৌকায় অতিরিক্ত পর্যটক এবং পর্যটকরা খাওয়া দাওয়া করে ময়লা-আবর্জনা হাওরে ফেলে দিচ্ছেন, যা হাওরের সৌর্ন্দযকে নষ্ট করছে। সেইজন্য গত মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকদের বহনকারী নৌযানের চালক-মালিকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। মূলত ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ আদেশ জারি করা হয়েছে, যা আজ বুধবার কার্যকর হয়েছে। ইতোমধ্যেই জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এই ১০টি নির্দেশনা সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবির বলেন, ইতোমধ্যেই বিভিন্ন উপজেলায় মাইকিং করেছি। যে জায়গা থেকে নৌকা করে পর্যটকরা আসুক না কেন, হাওরে প্রবেশের আগে অব্যশই ফরম পূরণ করে প্রবেশ করতে হবে। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সার্বক্ষণিক মোবাইল টিম থাকবে। নির্দেশনা অমান্য করলে অবশ্যই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
সারাবাংলা/এএম