Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দুর্নীতি মামলায় এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৪ আগস্ট ২০২১ ১৮:১০ | আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২১ ২০:৩০

সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, ফাইল ছবি

ঢাকা: সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ (এস কে সিনহা) ১১ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। একইসঙ্গে আগামী ২৯ আগস্ট আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানির তারিখ ঠিক করেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে সর্বশেষ সাক্ষী হিসেবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ সাক্ষ্য দেন। মামলায় চার্জশিটভুক্ত ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

গত বছরের ১৩ আগস্ট বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম মামলাটির চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক এবং টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়। মামলার তদন্তের সময় এজাহারভুক্ত আসামি মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ মারা গেলে তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

গত ৫ জানুয়ারি ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর ও আত্মসাতের অভিযোগে দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে কমিশনের জেলা সমন্বিত কার্যালয় ঢাকা-১-এ এই মামলাটি দায়ের করেন। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক বেনজীর আহমেদ এ চার্জশিট দেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে অস্বাভাবিক দ্রুততার সঙ্গে চার কোটি টাকা ভুয়া ঋণ তৈরি করে তা একইদিনে পে-অর্ডারের মাধ্যমে আসামি এস কে সিনহার ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর করেন। পরে এস কে সিনহা নগদ, চেক ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা সরিয়ে নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, যা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

সারাবাংলা/এআই/একে

আদালত এস কে সিনহা সাক্ষ্যগ্রহণ সুরেন্দ্র কুমার সিনহা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর