Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাড়ছে যমুনার পানি, নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত

ডিস্ট্রিক্ট করসেপন্ডেন্ট
২৩ আগস্ট ২০২১ ১২:২৪ | আপডেট: ২৩ আগস্ট ২০২১ ১২:২৫

সিরাজগঞ্জ: ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি তিন সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নদীপাড়ের হাজারো মানুষ।

সোমবার (২৩ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ১০ টায় সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহররক্ষা বাঁধ পয়েন্টের দায়িত্বে থাকা গেজ মিটার (পানি পরিমাপক) আব্দুল লতিফ এসব তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে কাজীপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টের (পানি পরিমাপক) ওমর ফারুক জানান, যমুনা নদীর পানি মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে, পানি বাড়ায় তলিয়ে গেছে শাহজাদপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ গো-চারণভূমি ও সবুজ ঘাস। ফলে দুই লক্ষাধিক গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গো-খামারিরা। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাড়িতে গাদাগাদি করে রাখা হচ্ছে গবাদি পশু। এতে নানান রোগ দেখা দিচ্ছে।

জেলার কাজীপুর উপজেলার চরাঞ্চলের নাটুয়ারপাড়া, নিশ্চিন্তপুর, চরগিরিশ, তেকানি, মুনসুরনগর ও খাসরাজবাড়ি ইউনিয়ন এবং চৌহালী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শুরু হওয়া ভাঙনে নদীতে বিলীন হয়েছে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি ও বসতভিটা। নদীর পাড় থেকে ঘড়-বাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন ভাঙন কবলিতরা।

নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, তার ইউনিয়নে ব্যাপক আকারে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে এলাকাবাসী।

ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিলীন হচ্ছে আবাদি জমি ও বৈদ্যুতিক খুঁটি।

বিজ্ঞাপন

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম
ভুঁইয়া সারাবাংলাকে বলেন, যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে চরাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে অনেক ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। তলিয়ে যাচ্ছে গো-চারণ ভূমি ও ফসলি জমি। পানিবন্দি হতে শুরু করেছে চরাঞ্চলের মানুষ।

এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন জানান, যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, যমুনা নদীর পানি আরও দু-একদিন বাড়তে পারে। এ সময়ের মধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রমও করতে পারে।

সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, যমুনা নদীতে পানি বাড়লেও তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তারা প্রতিনিয়ত খোঁজ-খবর রাখছি। তাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত রয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী সেগুলো বিতরণ করা হবে।

সারাবাংলা/একেএম

টপ নিউজ নতুন এলাকা প্লাবিত বাড়ছে যমুনার পানি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর