Saturday 11 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বাড়ছেই, বিপাকে খামারিরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২১ আগস্ট ২০২১ ১২:৫৪ | আপডেট: ২১ আগস্ট ২০২১ ১৪:০৩

সিরাজগঞ্জ: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারীবর্ষণে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। একইসঙ্গে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধিও অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যাকবলিত হয়ে পড়ছে নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা। এতে বিপাকে পড়েছেন জেলার গরুর খামারিরা। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জেলার বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙন।

শনিবার (২১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৮ ও কাজিপুর উপজেলার মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ৪৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে যমুনা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিরাজগঞ্জের শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের গেজ রিডার আব্দুল লতিফ ও কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টের গেজ রিডার ওমর আলী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার ও
কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ৪৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এ দুটি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার আশঙ্কা রয়েছে।

১৪ আগস্ট থেকে শনিবার (২১ আগস্ট) পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল ইতোমধ্যেই বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এ সকল এলাকার বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাটে পানি উঠে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন দুর্গতরা। বন্যাকবলিত এলাকার বিস্তীর্ণ ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় নষ্ট হচ্ছে রোপা আমন ক্ষেত ও বীজতলা, আখ, পাট, তিল ও সবজি বাগানসহ বিভিন্ন ফসল।

এদিকে পানি বাড়ায় তলিয়ে গেছে শাহজাদপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ গো-চারণভূমি ও সবুজ ঘাস। ফলে ২ লক্ষাধিক গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গো-খামারিরা। খামারিদের বাড়ির ছোট ছোট খামারগুলোতে গাদাগাদি করে রাখায় গবাদি পশুগুলো
নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বর্ষাকালে সবুজ ঘাস না থাকায় খড়, ভুসি, খৈলসহ প্যাকেটজাত খাবারে নির্ভরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে ব্যয়, কমেছে দুগ্ধ উৎপাদন।

বিজ্ঞাপন

অপরদিকে জেলার কাজিপুর উপজেলার চরাঞ্চলের নাটুয়ারপাড়া, নিশ্চিন্তপুর, চরগিরিশ, তেকানি, মুনসুরনগর ও খাসরাজবাড়ি ইউনিয়ন এবং চৌহালী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শুরু হওয়া ভাঙনে নদীতে বিলীন হয়েছে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি ও বসতভিটা। নদীর পার থেকে ঘড়বাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন ভাঙন কবলিতরা।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, আরও দুদিন যমুনা নদীর পানি বাড়বে। তবে বিপৎসীমা অতিক্রম নাও করতে পারে। দু-চারদিন পর থেকে পানি কমতে থাকবে।

সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, যমুনা নদীতে পানি বাড়লেও তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আমরা প্রতিনিয়ত খোঁজখবর রাখছি। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ আছে।

সারাবাংলা/এএম

সিরাজগঞ্জ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর